রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

২৪ জুনের মধ্যেই শেষ করতে হবে বাঁধের কাজ, নির্দেশ মমতার

June 14, 2021 | 2 min read

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনে আগামী ২৪ জুনের আগেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ১০৪টি জায়গায় নদী ও সমুদ্রবাঁধ মেরামতের কাজ শেষ করার জন্য ঝাঁপাল সেচদপ্তর। সেচদপ্তরের কাঁথি ডিভিশন খেজুরি থেকে দীঘা পর্যন্ত সমুদ্রবাঁধ মেরামত করছে। একইসঙ্গে ওই ডিভিশন থেকেই রসুলপুর ও হলদি নদীবাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা চিহ্নিত করে মেরামত করা হচ্ছে। গত ১০জুন জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি খেজুরি, দেশপ্রাণ এবং রামনগর এলাকায় নদী ও সমুদ্রবাঁধের কাজ খতিয়ে দেখেন। আগামী ২৪তারিখের মধ্যে সেচদপ্তরের কাঁথি ডিভিশনের অন্তর্গত ১০৪টি জায়গায় বাঁধ মেরামতের কাজ শেষ করার টার্গেট দেওয়া হয়েছে। ২৪তারিখের মধ্যে জেলাশাসক আবারও একবার সেচদপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে ভিজিট করবেন।

গত ২৬মে ভরা কোটাল এবং নিম্নচাপের সাঁড়াশি চাপে প্রবল সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসে সমুদ্রবাঁধে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। একইসঙ্গে জোয়ার-ভাটায় পুষ্ট রসুলপুর এবং হলদি নদীর বিভিন্ন পাড় ভেঙে পড়েছে। মাস ঘুরলেই ফের ২৬জুন পূর্ণিমার ভরা কোটাল। ভরা বর্ষায় পূর্ণিমার ভরা কোটালে আবারও উত্তাল হবে সমুদ্র। তার আগে সমুদ্র ও নদীবাঁধ (Embankment) ঠিকমতো মেরামত না হলে ফের প্লাবনের শঙ্কা। তাই একমাসের মধ্যে ভাঙন এলাকায় মেরামতের কাজ শেষ করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ শিরোধার্য করেই এখন খেজুরি-২ব্লকের নিজকসবা থেকে রামনগরের শঙ্করপুর পর্যন্ত সর্বত্রই ভাঙন এলাকায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সেচদপ্তর কাজ করছে। অমাবস্যার কোটালে নন্দীগ্রামের ভেকুটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কয়েকটি মৌজায় জল ঢোকা ছাড়া সেভাবে প্লাবিত হয়নি। এখন নজর ২৬তারিখ পূর্ণিমার ভরা কোটালের দিকে। তার আগে ২৪তারিখের মধ্যেই সবকটি জায়গায় কাজ শেষ করার টার্গেট নিয়েছে সেচ ও জলপথ দপ্তর। দপ্তরের কাঁথি ডিভিশনের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার উত্তম হাজরা বলেন, যশ সাইক্লোন এবং জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতিগ্রস্ত মোট ১০৪টি জায়গায় সমুদ্রবাঁধ ও নদীবাঁধ মেরামতের কাজ হচ্ছে। এই কাজ ২৪তারিখের মধ্যে শেষ করা হবে। এরইমধ্যে জেলাশাসক একবার ভিজিটে আসবেন।

অমাবস্যার কোটালে শঙ্করপুর ও তাজপুর এলাকা নিয়ে চিন্তায় ছিল প্রশাসন। সেজন্য ওই এলাকা থেকে গ্রামবাসীদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তবে, কোটালে সেভাবে কোনও মৌজায় জল ঢোকেনি। শনিবার পর্যন্ত জেলায় ২৬টি ত্রাণ শিবিরে ৩৭৬১জন মানুষ ছিলেন। এদিন বিকেলের মধ্যেই রামনগর-১ ও ২ ব্লকের কয়েকটি ক্যাম্প ছাড়া বেশিরভাগ ত্রাণশিবির বন্ধ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এখনও বালিসাই থেকে তাজপুর যাওয়ার পিচ রাস্তার উপর ত্রিপল খাঁটিয়ে তাজপুর লাগোয়া উত্তর জলধা গ্রামের মানুষজন আশ্রয় নিয়ে আছেন। ২৬তারিখ পূর্ণিমার কোটাল নিয়েই সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন তাঁরা। কারণ, জলধা ও চাঁদপুরে সমুদ্রবাঁধ ভেঙে তছনছ হয়ে গিয়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#West Bengal, #Mamata Banerjee, #embankment

আরো দেখুন