দ্বিতীয় ও চতুর্থ বাদে এখন থেকে শনিবারেও খোলা খাদ্য দপ্তরের অফিস

কোভিড পরিস্থিতিতে বিধিনিষেধ থাকার জন্য সরকারি অফিসে কর্মীদের উপস্থিতি অনেক দিন ধরে কম। এর জন্য অনেক কাজকর্ম থমকে আছে। কী কী ক্ষেত্রে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ এখন করতে হবে তার একটা তালিকা ওই নোটে উল্লেখ করা হয়েছে আছে।

June 14, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজ্যে খাদ্যদপ্তরের (Food department) সব অফিস মাসের প্রথম, তৃতীয় ও পঞ্চম শনিবার খোলা থাকবে। খাদ্যদপ্তরের সচিব পারভেজ আমেদ সিদ্দিকি এব্যাপারে ইন্টারনাল অফিস নোট জারি করে সংশ্লিষ্ট অফিসারদের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন। শনিবার ১২ জুন ইস্যু হওয়া এই নোটের শেষদিকে এটাও উল্লেখ করা হয়েছে যে প্রয়োজন বোধে অফিস কর্তৃপক্ষ মাসের অন্য শনিবারগুলি, এমনকী রবিবারও অফিস খুলে কাজ চালাতে পারবেন।

মাসের দু’টি বা তিনটি শনিবার স্বাভাবিক দিনের মতোই কাজ হবে। সব কর্মী ও অফিসারকে ওই দিনগুলিতে আসতে হবে। মাসের অন্য শনিবার ও রবিবার প্রয়োজন বুঝে কর্মী ও অফিসারদের ডেকে এনে কাজ চালানো যাবে। সচিবালয় থেকে আঞ্চলিক স্তর পর্যন্ত খাদ্যদপ্তরের অফিসে এই নির্দেশ কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।

রাজ্য সরকারের সচিবালয়, ডিরেক্টরেট ও আঞ্চলিক স্তরের সব অফিসে সপ্তাহে পাঁচদিন কাজ বামফ্রন্ট সরকারের সময় ২০ বছরেরও আগে চালু করা হয়। আগে একসময় শনিবারে সরকারি অফিসে অর্ধদিবস কাজ হতো। তারপর মাসে দু’টি শনিবার ছুটি চালু হয়। এই ব্যবস্থা বেশিদিন চলেনি। ১৯৯০-এর দশকের শেষদিকে সরকারি অফিসে শনি ও রবিবার ছুটির ব্যবস্থা চালু হয়। খাদ্যদপ্তরের শনিবারের ছুটি আংশিকভাবে উঠিয়ে দেওয়ার পর অন্য দপ্তরগুলিও কি সেই পথে হাঁটবে? সেই প্রশ্ন উঠছে। খাদ্যদপ্তরের সব অফিসে আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শনিবারের দু’টি বা তিনটি ছুটি বাতিল হল তার ব্যাখা হিসেবে কাজ জমে থাকা ও জরুরি কাজের কারণ দেখানো হয়েছে। অন্য দপ্তরের ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য। খাদ্যসচিবের নোটে বলা হয়েছে, কোভিড পরিস্থিতিতে বিধিনিষেধ থাকার জন্য সরকারি অফিসে কর্মীদের উপস্থিতি অনেক দিন ধরে কম। এর জন্য অনেক কাজকর্ম থমকে আছে। কী কী ক্ষেত্রে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ এখন করতে হবে তার একটা তালিকা ওই নোটে উল্লেখ করা হয়েছে আছে।

তবে শনিবারে কাজ করার নির্দেশের বিষয়টি জানার পর কর্মী মহলে কিছু প্রশ্ন উঠেছে। ১৬ মে বিশেষ বিধিনিষেধ জারি হওয়ার পর থেকে অধিকাংশ সরকারি অফিসে শুধু হাতে গোনা কিছু কর্মী জরুরি কাজ করার জন্য মাঝে মধ্যে আসছেন। খাদ্যদপ্তরের এই সিদ্ধান্ত কি আগামী দিনে সরকারি অফিসে উপস্থিতি সংক্রান্ত বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে? বিধিনিষেধ জারি হওয়ার আগে সরকারি অফিসে সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ চালাতে বলা হয়েছিল। পরিবহণ ব্যবস্থা স্বাভাবিক না-হলে কর্মীরা কীভাবে আসবেন সেই প্রশ্ন উঠছে?

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen