রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

রাজভবনের খোলা বারান্দায় নজিরবিহীন বৈঠক রাজ্যপালের, নিন্দায় সরব সব মহল

June 14, 2021 | 2 min read

ভোট পরবর্তী হিংসার নিয়ে অভিযোগ জানাতে এসেছিলেন বিজেপি (BJP) নেতারা। তাঁদের সঙ্গে রাজভবনের খোলা বারান্দায় বৈঠক করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। এ ভাবে রাজ্যের বিরোধী শিবিরের সঙ্গে খোলা বারান্দায় বৈঠকের ঘটনা বেনজির বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। যদিও অন্য একটি অংশ বলছে, এ নিয়ে তেমন বাঁধা ধরা কোনও নিয়ম নেই। রাজ্যপাল চাইলে খোলা বারান্দায় বৈঠক করতেই পারেন। কিন্তু প্রকাশ্যে একটি দলের বিধায়কদের সাথে রাজ্যপালের এহেন বৈঠকে স্তম্ভিত সারা রাজ্য।

রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানাতে বিরোধী দলের প্রতিনিধিরা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসছেন বলে সকালেই জানিয়েছিলেন রাজ্যপাল। সেই মতো বিকেল ৪টে নাগাদ বিধানসভা থেকে হেঁটে রাজভবনে এসে পৌঁছয় শুভেন্দু অধিকারী নেতৃত্বাধীন বিজেপি প্রতিনিধিদের একটি দল। রাজভবনের বারান্দায় রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক হয় তাঁদের। বৈঠক শেষে তাঁদের সঙ্গে নিয়েই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন ধনখড়। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করেন।

দুই বছর আগে রাজ্যপাল হিসেবে বাংলায় পদার্পণ করার পর থেকে একের পর এক নানা সিদ্ধান্তে এবং বক্তব্যে বিতর্কের সৃষ্টি করেছেন তিনি। কার্জনের স্তুতি থেকে টুইটারে খোলাখুলি পরিবর্তনের ডাক দেওয়া, পান থেকে চুন খসলে অপমানিত হওয়া থেকে রাজভবনের বাইরে ভেড়া নিয়ে প্রতিবাদ করায় পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া – তাঁর কার্যকলাপ এক প্রকার বাংলার মানুষের বিনোদন হয়ে উঠেছে।

রাজ্যপালের আসনে থাকাকালীন নিরপেক্ষতাই আশা করা হয় কোনও ব্যক্তির কাছে। কিন্তু জগদীপ ধনখড় যে বিজেপির প্রতি নরম মনোভাব পোষণ করেন তা সর্বজনবিদিত। রাজ্যপাল হওয়ার আগে উনি যে আরএসএস এর সক্রিয় সমর্থক ছিলেন, সেটিও কারও অজানা নয়।

রাজ্যপালের সঙ্গে বিজেপি বিধায়কদের এই চা-চক্র নিয়ে তৃণমূলের তরফে দেওয়া হয়েছে পাল্টা খোঁচা। প্রশ্ন তোলা হয়েছে বিধায়কদের গড় হাজিরা নিয়ে। সাংবাদিক বৈঠক করে এই প্রসঙ্গে সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, “রাজ্যপালের কাছে বিজেপির পক্ষে অনেক বিধায়ক তো গেলেনই না। কেন অনুপস্থিত থাকলেন তাঁরা? সেটা নিয়ে বিজেপি তদন্ত করুক।”

একইসঙ্গে সোমবারের এই বৈঠক থেকে তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় বলেন, “বিজেপির কিছু লোক মাইকিং করে বলছেন ফিরে আসব। বাংলার বাইরে আমাদের পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা চলছে৷ কোনও বিশেষ রাজ্য শুধু নয়।” শুভেন্দু অধিকারীর ‘দলত্যাগ বিরোধী আইন’ এর দাবিকে কটাক্ষ করে সুখেন্দু শেখর বলেন, “দলত্যাগ বিরোধী আইন কী ভাবে বলবৎ হবে তাতে রাজ্যপালের কোনও ভূমিকা নেই।” নাম না করে শুভেন্দুকে একহাত নেন সুখেন্দু শেখর। তিনি বলেন, “উনি সীমায় থেকে কাজ করুন। যে দলের সভাপতি তার সাঙ্গপাঙ্গরা যে ধরণের মন্তব্য করেছেন। তা উস্কানিমূলক মন্তব্য। আকাশ বাতাস কলুষিত করেছে। তাদের কন্ঠে আজ আর্তনাদ কেন? আমাদের লোকেদের খুন করবে বলেছিল। গুলি করবে বলেছিল। তারা আজ এমন করছে কেন?”

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Jagdeep Dhankhar, #bjp

আরো দেখুন