কথার খেলাপ বামেদের, কেরলে আবার ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরির কাজ শুরু
কেউ কথা রাখে না। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নও (Pinarayi Vijayan) বোধহয় সেই দলে নাম লেখালেন। বছরখানেক আগে তিনি বলেছিলেন, তাঁর রাজ্যে কোনও ডিটেনশন সেন্টার (Detention Centre) নির্মাণ হবে না। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে কেরল বিধানসভায় প্রস্তাবও পাশ করে তাঁর সরকার। কিন্তু শেষ পর্যস্ত কেন্দ্রের নির্দেশ অনুযায়ী, সিএএ নিয়ে দেশে ফের আলোচনা শুরু হয়েছে।
এই প্রেক্ষিতে সামাজিক ন্যায় দফতরের ডিরেক্টর পুনরায় নোটিশ পাঠিয়েছে। কেরলের তিরুবন্তপুরম ও থ্রিসুরে এই ক্যাম্প নির্মাণ হবে বলে জানা গেছে। দেড়বছর আগে প্রবল প্রতিবাদের মুখে নির্মাণ কাজ থমকে গিয়েছিল। এর আগে অমিত শাহরা জানিয়েছিলেন, দেশে কোনও ডিটেনশন ক্যাম্প নেই। ২০১৯ সালে কেন্দ্র রাজ্যগুলিকে ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরির করার নির্দেশ দিয়েছিল।
এই ডিটেনশন ক্যাম্পগুলি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সহযোগীতায় তৈরি হবে। যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে এবং যারা অবৈধভাবে এ দেশে প্রবেশ করেছে, তাদেরকে এইসব সেন্টারে রাখা হবে বলে কেন্দ্রের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।
দুই জেলায় একসাথে ১০ জনকে রাখার মতো করে ক্যাম্পগুলি তৈরি হবে। ১৫ই জুন বিকেল ৫ টার মধ্যে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলিকে আবেদন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নোটিসে। সিসিটিভি বসানো হবে ডিটেনশন সেন্টারগুলিতে এবং রাজ্যপুলিশ এর নিরাপত্তার তত্ত্বাবধানে থাকবে।
থ্রিসুরের ক্যাম্পটি কাজও শুরু করে দিয়েছে। দুই নাইজেরিয়ান এবং এক মায়ানমারের বাসিন্দাকে ক্যাম্পে রাখা হয়েছে।