ইউরো কাপ: প্রথম ম্যাচে জয় অধরাই রয়ে গেল স্পেনের
বল পজেশন থেকে গোলের চেষ্টা, খেলার শুরু থেকেই সবদিকে এগিয়ে ছিল তিনবারের ইউরো চ্যাম্পিয়ন স্পেন (Spain)। খাতায় কলমেও সুইডেনের চেয়ে ঢের ভাল দল লা রোহা। কিন্তু তা সত্ত্বেও নিট ফল শূন্য। লুই এনরিকের দল বাছাইয়ে গলদ আর সুইডিশ গোলকিপারের অনবদ্য দুই হাতের দৌলতেই চলতি ইউরোয় (Euro 2020) নিজেদের প্রথম ম্যাচে জয় অধরাই রয়ে গেল স্পেনের।
অন্যান্যবারের চেয়ে এবার অনেকটাই আলাদা স্প্যানিশ শিবির। না রয়েছে জাভি-ইনিয়েস্তার মতো গেমচেঞ্জার। আর না দাভিদ ভিয়ার মতো ভরসার স্তম্ভ। নেই দিয়েগো কোস্তাও। গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো আবার করোনার কোপে আপাতত মাঠের বাইরে সের্জিও বুস্কেটস। রিয়াল তারকা সের্জিও ব়্যামোসকে তো আগেই বাদের খাতায় ফেলে দিয়েছিলেন এনরিকে। এমন পরিস্থিতিতে কীভাবে ফরোয়ার্ড লাইন সাজাবেন, তা নিয়ে বেশ ধন্দেই ছিলেন স্পেনের কোচ। কিন্তু জেরার্ড মোরেনোকে প্রথম একাদশে না
রাখার মতো সিদ্ধান্ত যে তিনি নেবেন, তা হয়তো ভাবতে পারেননি স্পেনের অতি বড় শত্রুও। এই মরশুমে ৩০টি গোল করা ভিয়ারিয়াল স্ট্রাইকারকে না রেখে তো ওলমো, তোরেস ও মোরাতাকে নিয়েই আক্রমণ ভাগ সাজান এনরিকে। যে তারকা স্প্যানিশ আর্মার্ডার তুরুপের তাস হয়ে উঠতে পারতেন, সেই মোরেনো নামলেন
দ্বিতীয়ার্ধে।
তার আগে অবশ্য একাধিক সুযোগ মিস করলেন মোরাতারা। বারবার সুইডিশ ডেরায় ঢুকেও লক্ষ্যভেদ হল না। সেই কৃতিত্ব যেমন সুইডেন রক্ষণের প্রাপ্য, তেমনই গোলকিপার রবিন ওলসেনের প্রশংসা না করলেই নয়। স্পেনের মতো হেভিওয়েট নামের দলের বিরুদ্ধে খেলার আলাদা একটা চাপ থাকেই। তাও আবার ইউরোর মঞ্চে। সোমরাতে সেই চাপ অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে সামলালেন তিনি। একের পর এক নিশ্চিত গোল আটকে প্রথম ম্যাচেই জানান দিলেন, সহজে জমি ছাড়বেন না। সুইডিশ স্ট্রাইকার আলেকজান্ডার ইসাকও পাল্লা দিয়ে লড়েন। যদিও গোলের সহজ সুযোগ মিস করেন তিনি।
নির্ধারিত সময়ের বছর খানেক পর ইউরোপের এগারো শহরে আয়োজিত হচ্ছে ইউরো। যেখানে এবার পর্তুগাল, ফ্রান্স, জার্মানির মতো দলের সঙ্গে স্পেনের তরুণ বাহিনীকে ফেভারিটদের তালিকায় রাখা হয়নি। ফুটবলারদের করোনা টিকা না দেওয়া, পর্যাপ্ত প্র্যাকটিসের সময় না পাওয়ার মতো নানা ক্ষোভ রয়ে গিয়েছে এনরিকের মনেও। সেসব সমস্যার ছাপই যে মাঠে এসে পড়ল। প্রথম ম্যাচে আটকে যাওয়াই যেন অশনি সংকেত হয়ে রইল স্প্যানিশ শিবিরের কাছে।