ভারতে আইনি রক্ষাকবচ হারাল টুইটার? জল্পনা
অন্তর্বর্তীকালীন চিফ কমপ্লায়েন্স অফিসার (CCO) নিয়োগ করেও রেহাই পাচ্ছে না টুইটার (Twitter)। সূত্রের খবর, নয়া তথ্যপ্রযুক্তি নীতির শর্ত পূরণ করতে না পারায় ভারতে আইনি রক্ষাকবচ হারাল মাইক্রো ব্লগিং সাইট।
এক কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিজ জানিয়েছেন, তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৭৯ ধারায় টুইটার আর আইনি রক্ষাকবচ পাবে না। যা কোনও তৃতীয় পক্ষের (থার্ড পার্টি) কনটেন্টের দায় থেকে কোনও মধ্যস্থতাকারীদের রেহাই দেয়। ওই আধিকারিক বলেছেন, ‘এখন যদি আদালতে কোনও মামলা হয়, তথ্যপ্রযুক্তি আইনের আওতায় সুরক্ষা পাবে না টুইটার। ২৬ মে’র কোনও মামলা দায়ের হলে টুইটার নিজেদের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে দেখাতে পারবে না। তার ফলে রেহাই পাওয়ার আর্জি জানাতে পারবে না।’
সংবাদসংস্থা এএনআইকে এক সরকারি সূত্র জানিয়েছেন, জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলির মধ্যে একমাত্র টুইটারই নয়া তথ্যপ্রযুক্তি নিয়মের শর্তপূরণ করেনি। যে নীতি অনুযায়ী, সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলিকে চিফ কমপ্লায়েন্স অফিসার, রেসিডেন্ট গ্রিভান্স অফিসার-সহ ভারতের জন্য একাধিক আধিকারিক নিয়োগ করতে হবে। কিন্তু প্রথম থেকেই সেই নয়া নীতি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে টুইটার। গত ৫ জুন কেন্দ্রের ‘চূড়ান্ত’ নোটিশের পর অবশ্য সুর নরম করে মাইক্রো ব্লগিং সাইট। নয়া নীতি মেনে চলা হবে বলে জানানো হয়। দেওয়া হয় এক সপ্তাহের মধ্যে শর্ত পূরণেরও আশ্বাস।
সেই ঘটনার রেশ ধরে মঙ্গলবার টুইটারের তরফে জানানো হয়, নয়া নীতি নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। নিয়োগ করা হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন চিফ কমপ্লায়েন্স অফিসারও। সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য শীঘ্রই ভারত সরকারকে জানানো হবে। নয়া নীতি অনুযায়ী, কোনওরকম নিয়ম ভঙ্গের ক্ষেত্রে চিফ কমপ্লায়েন্স অফিসার আইনি ব্যবস্থার মুখে পড়তে পারেন। মাইক্রো ব্লগিং সাইটের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়, ‘নয়া নীতি পূরণের জন্য সবরকমের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে টুইটার।’