উত্তরের ৫ বিধায়ক, ২ সাংসদ পদ্ম ছেড়ে ঘাসফুলে? জল্পনা
২১ জুলাই তৃণমূলের শহিদ দিবসের আয়োজন যদি শেষ পর্যন্ত হয়, তবে বিধানসভা নির্বাচনের বিজয় সমাবেশ হবে বলে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) আগেই জানিয়ে রেখেছেন। তৃণমূল সুত্রে খবর, কলকাতার সেই সমাবেশ হলে বিজেপির উল্লেখযোগ্য কয়েকজন জনপ্রতিনিধিকে সেদিন দলে যোগ দেওয়ানো হতে পারে।
তৃণমূলের প্রবীণ নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায় (Subrata Mukherjee) আভাস দিয়েছেন, বড় রকমের চমক থাকতে পারে ২১ জুলাইয়ে। কী সেই চমক? তৃণমূল সূত্রে খবর, উত্তরবঙ্গের বিজেপির অন্তত ২ জন সাংসদ এবং ৫ জন বিধায়কের সেদিন তৃণমূলে যোগ দেওয়ার প্রবল সন্তাবনা রয়েছে। রাজ্যের আরও কয়েকজন বিধায়কের পাশাপাশি, ত্রিপুরার বেশ কয়েকজন বিজেপি বিধায়ককে সেদিন ঘাসফুল শিবিরে নাম লেখানোর তোড়জোড় ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে।
দলে বিজেপির জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে আসার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মুকুল রায়কে। বুধবার মুকুল বলেন, “একটু অপেক্ষা করলে ধীরে ধীরে সব স্পষ্ট হয়ে যাবে।” পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, “২১ জুলাই সমাবেশ এবার হবে বলেই এখনও ঠিক আছে।” ত্রিপুরার বেশ কয়েকজন বিধায়ক এবং এই রাজ্যের কয়েকজন বিজেপি সাংসদ ও বিধায়কের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার খবর সম্পর্কে জানতে চাইলে এক প্রবীণ নেতা বলে্ন, “আমি এখনই নির্দিষ্ট করে কোনও নাম বলছিনা। তবে এটা নিশ্চিত ২১ শে জুলাইয়ের সমাবেশে বড় চমক থাকবে।”
দলের তরফ থেকে এসবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মুকুল রায়কে। বিশেষ করে ত্রিপুরার ব্যাপারে গুরুদায়িত্ব তাঁর কাঁধে। একসময় তাঁর হাত ধরেই ত্রিপুরায় সংগঠন তৈরি করেছিল তৃণমূল। তৃণমূলের ৬ জন বিধায়কও ছিলেন ত্রিপুরায়। মুকুল বিজেপিতে যোগ দিতেই তাঁরাও দলবদল করেন।
ইতিমধ্যে ত্রিপুরার বিজেপি বিধায়কদের একটি বড় অংশ মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। তাঁরাই কলকাতায় এসে ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে ঘাসফুল শিবিরে নাম লেখাতে পারেন। মুকুল ঘনিষ্ট উত্তরবঙ্গের ২ প্রাক্তন তৃণমূল ও বর্তমানে বিজেপি সাংসদ ও ৫ বিধায়কের সঙ্গে কথাবার্তা অনেক দূর এগিয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর।
এরমধ্যে ত্রিপুরায় তৃণমূলের ‘ঘরওয়াপসি’ শুরু হয়ে গিয়েছে। ৫টি পরিবারের ৪১ জন সদস্য বুধবারই তৃণমূলে নাম লিখিয়েছেন। তৃণমূলের থিম সং-ও তৈরি হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যে “ত্রিপুরা কইতাসে মমতাদি আইতাসে”থিম সংটি ত্রিপুরায় বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব নেওয়ার পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) জানিয়েছিলেন, সর্বভারতীয় স্তরে তৃণমূল সংগঠন তৈরি করবে। শুধু কিছু ভোট পাওয়ার জন্য নয়, বিভিন্ন রাজ্য দখলের লক্ষ্যেই তৃণমূল এগোবে বলে দলের রোডম্যাপ জানিয়ে দিয়েছিলেন অভিষেক। মুকুল রায় শুধু ত্রিপুরা নয়, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আরও কিছু রাজ্যের কয়েকজন বিধায়কের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে তৃণমূল সূত্রে খবর।