লোন পাইয়ে দেওয়ার নাম করে আর্থিক প্রতারণা, বিজেপি নেতার বাড়ির সামনে ধর্না

প্রতারিতরা বলেন, বিজেপির তিন নেতা আমাদের লোন পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে হাজার হাজার টাকা নিয়েছেন। বিজেপির ওই তিন নেতার মধ্যে মণ্ডল সভাপতি রথীন আচার্যও ছিলেন।

June 17, 2021 | 2 min read

Authored By:

Drishti Bhongi Drishti Bhongi
Published by: Drishti Bhongi

লোন পাইয়ে দেওয়ার নাম করে তিন চাষির কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে এক বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। বুধবার প্রাপ্য টাকা সুদ সহ আদায়ের দাবিতে অভিযুক্ত বিজেপি নেতার বাড়িতে প্লাকার্ড হাতে নিয়ে ধর্নায় বসেন প্রতারিত ওই তিনজন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ময়নাগুড়ি ব্লকের খাগড়াবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার টেকাটুলি গ্রামে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। যদিও ওই বিজেপি (BJP) নেতা গোটা ঘটনা সাজানো বলে দাবি করেন। খবর পেয়ে ময়নাগুড়ি থানা থেকে পুলিস পৌঁছয়। তাঁরা পুলিসের কাছেও এ ব্যাপারে মৌখিক অভিযোগ জানান। অভিযোগের তদন্ত করা হবে বলে পুলিস তাঁদের আশ্বস্ত করে। এরপর তাঁরা ধর্না তুলে নেন। বিজেপির টেকাটুলি গ্রামের উত্তর মণ্ডল সভাপতি রথীন আচার্যের বাড়িতে এদিন ধর্নায় বসেন ওই গ্রামের কৃষ্ণ রায় বৈশ্য, সুবল রায় বৈশ্য ও নেন্দু রায়। তাঁদের অভিযোগ, রথীনবাবু সহ আরও দু’জন শূকরের ফার্মের লোন পাইয়ে দিতে টাকা নিয়েছিলেন। তিনবছর হয়ে যাওয়ার পরেও তাঁরা লোন পাননি। তাই এদিন তাঁরা সুদ সহ টাকা ফেরতের দাবিতে ধর্নায় বসেন। বিজেপির স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য মৌমিতা আচার্যের শ্বশুরমশাই রথীনবাবু। তাঁরা একই বাড়িতে থাকেন। বাড়ির গেটের সমানে তিনজন ধর্নায় বসায় চটে যান মৌমিতাদেবী। তিনি বাড়ি থেকে তাঁদের বেরিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু তাঁরা বসে থাকায় তাঁদের ধমক দেন বলে ধর্নায় বসা ব্যক্তিরা দাবি করেন। তাঁদের অভিযোগ, ওই পঞ্চায়েত সদস্যা তাঁদের হাত থেকে প্লাকার্ডও কেড়ে নিয়ে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করেন। প্রতারিতরা বলেন, বিজেপির তিন নেতা আমাদের লোন পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে হাজার হাজার টাকা নিয়েছেন। বিজেপির ওই তিন নেতার মধ্যে মণ্ডল সভাপতি রথীন আচার্যও ছিলেন। রথীনবাবু স্থানীয় একটি ফার্মার্স ক্লাবের সভাপতি। তিনি আমাদের প্রতারিত করেছেন। আমরা সুদ সহ টাকার ফেরতের দাবি নিয়ে ধর্নায় বসেছি।

কৃষ্ণ রায় বৈশ্য বলেন, ২০১৭ সালে শূকর পালনের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলাম। তখন আমাদের রথীনবাবু বলেছিলেন, খামার গড়ার জন্য সহজে লোনের ব্যবস্থা তিনি করে দেবেন। চার লক্ষ টাকা লোন আমি পাব। আমার কাছ থেকে তিনি ২৫ হাজার টাকা নগদ নেন। বাকি দু’জনের কাছ থেকে ২০ হাজার ও ৩৫ হাজার টাকা নিয়েছেন। এতদিনেও লোন পাইনি, তাই সুদ সহ টাকা ফেরত চাইতে ধর্নায় বসি।

অভিযুক্ত রথীনবাবু বলেন, সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ছাড়া আর কিছু নয়। আমি কারও কাছ থেকে কোনও টাকা নেইনি। পঞ্চায়েত সদস্যা মৌমিতা আচার্য বলেন, কিছু লোক কারও উস্কানিতে বাড়ির সামনে ধর্নায় বসেছিলেন। তাঁদের সরে যেতে বলি। কারও সঙ্গে দুর্ব্যবহার করিনি। খাগড়াবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বাবলু রায় বলেন, গরিব মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ওই বিজেপি নেতা অন্যায় কাজ করেছেন। এরআগেও আমার কাছে এ নিয়ে প্রতারিতরা এসেছিলেন। আমি চাইছি, অভিযুক্তদের উপযুক্ত শাস্তি হোক।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen