চেন্নাইয়ের হাসপাতালে ‘আপতত স্থতিশীল’ মুকুল-জায়া

কলকাতাতে থেকে চেন্নাই যাত্রার প্রাথমিক ধকল কাটিয়ে উঠতে পেরেছেন বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা। তবে তাঁর অবস্থা যে ‘জটিল’ সে বিষয়টিও একইসঙ্গে বলে রাখছেন তাঁরা।

June 17, 2021 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

বৃহস্পতিবার সকালে চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে চেন্নাই নিয়ে যাওয়া হয়েছে মুকুল-জায়া কৃষ্ণা রায়কে (krishna Roy)। সেখানেই এমজিএম হেল্থকেয়ারে চিকিৎসক বালাকৃষ্ণণের তত্ত্বাবধানে ফুসফুসের চিকিৎসের চিকিৎসা শুরু হয়েছে তাঁর। হাসপাতাল সূত্রে খবর, আপাতত স্থিতিশীল রয়েছেন কৃষ্ণা । কলকাতাতে থেকে চেন্নাই যাত্রার প্রাথমিক ধকল কাটিয়ে উঠতে পেরেছেন বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা। তবে তাঁর অবস্থা যে ‘জটিল’ সে বিষয়টিও একইসঙ্গে বলে রাখছেন তাঁরা। প্রয়োজনে ফুসফুস প্রতিস্থাপনও করা হতে পারে বলে মত চিকিৎসকদের।

কলকাতায় বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে ১৫ দিন ধরে একমো সাপোর্টে ছিলেন কৃষ্ণা। অসুস্থ শরীরে চেন্নাই যাওয়ার ধকল সইতে পারবেন কি না, সেই দোটানার মধ্যেই এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সের খোঁজ শুরু হয়। অবশেষে দিল্লি থেকে আসে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স। তাতেই একমো সাপোর্ট দিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা-সহ আকাশ পথে দক্ষিণের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল তাঁকে।

দেখা যাক কী কী সুবিধা ছিল কৃষ্ণার এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে (Ambulance)। ওই অ্যাম্বুল্যান্সে ছিল ১টি একমো মেশিন, ১টি ভেন্টিলেটর, ১টি কার্ডিয়াক মনিটর, ৩টি ইনফিউশন পাম্প, ২টি ইমার্জেন্সি ব্যাগ, ৩টি ফ্লো মিটার, ২টি অক্সিজেন সিলিন্ডার এবং ১টি স্ট্রেচার।

চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ছাড়াও কৃষ্ণার সঙ্গে এয়ার অ্যাম্বুল্যন্সে ছিলেন আরও ৪ জন। নিয়ম মাফিক রোগী যে হাসপাতালে ভর্তি হবেন, সেই হাসপাতালের চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীরা অ্যাম্বুল্যান্সে ছিলেন। কৃষ্ণা একমো সাপোর্টে থাকার জন্য ওই অ্যাম্বুল্যান্সে ছিলেন এক পারফিউসনিস্ট। এক চিকিৎসক এবং এক প্যারামেডিক। এছাড়াও কৃষ্ণার সঙ্গে ছিলেন এক সহকারি। আগেই চেন্নাই গিয়েছেন ছেলে শুভ্রাংশু। বুধবার দুপুরে কৃষ্ণার চেন্নাই যাওয়ার কথা থাকলেও আবহাওয়া খারাপ থাকায় যাওয়া সম্ভব হয়নি। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁকে চেন্নাই নিয়ে যাওয়া হয়। আপাতত এই হাসপাতালের চিকিৎসার দিকেই তাকিয়ে মুকুল-পরিবার।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen
দিন বাকি