রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

বঙ্গ বিজেপিতে ফাটল, সৌজন্যে শুভেন্দু

June 18, 2021 | 2 min read

বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর থেকেই বঙ্গ বিজেপিতে (BJP) দলীয় কোন্দল চরমে। এবার শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ইস্যুতে সেই ফাটল কি আরও চওড়া হতে শুরু করল? দলীয় সূত্রে খবর কিন্তু এমনটাই। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সামনে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছেন একাধিক বঙ্গ বিজেপি নেতা। শুধু তাই নয়, রাজ্যের এই কোন্দলের আঁচ এসে লেগেছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের মধ্যেও। বাংলাকে (West Bengal) কেন্দ্র করে সেখানে দ্বন্দ্ব আরও চরমে। দলীয় সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের মধ্যে একসঙ্গে বসে বৈঠক করতেও তীব্র অনীহা দেখা দিয়েছে। সেই ইঙ্গিতই মিলেছে বিজেপির অন্যতম কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের (Kailash Vijayvargiya) আচরণে। গত ২ মে ভোটের ফলপ্রকাশের পর এদিনই প্রথম বঙ্গ নেতৃত্বের সঙ্গে পরাজয়ের বিশ্লেষণ নিয়ে কলকাতায় আলোচনায় বসেছিলেন দিল্লির নেতারা। সেখানে যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও, আসেননি কৈলাস। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তুমুল জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে। 


বিজেপির অন্দরের খবর, পশ্চিমবঙ্গে দলের টালমাটাল পরিস্থিতি সামাল দিতে এদিনই কলকাতায় ছুটে যান বিজেপির সর্বভারতীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) শিবপ্রকাশ (Shivprakash)। তিনি বাংলার ভারপ্রাপ্ত দলের সহনেতাও। তাঁর সঙ্গে রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত আরও দুই নেতা অরবিন্দ মেনন (Arvind Menon) এবং অমিত মালব্য (Amit Malviya) ওই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। সেখানে আসন্ন বিধানসভা উপনির্বাচন নিয়ে আলোচনা শুরু হতেই উত্তপ্ত হয়ে উঠে পরিবেশ। রাজ্যের এক নেতা রীতিমতো চিৎকার করে প্রশ্ন করেন, শুভেন্দু যাকে প্রার্থী বলবে তাঁকেই মেনে নিতে হবে নাকি? দলের অপর এক নেতার কথায়, বিধানসভা ভোটে দিল্লির নেতাদের বুঝিয়ে বহু আসনে পদ্ম প্রতীক পেয়েছিলেন শুভেন্দুবাবুর পছন্দের প্রার্থী। তাঁদের অধিকাংশই ভোটে গোহারা হেরেছেন। এবার উপনির্বাচনেও ইতিমধ্যেই বিভিন্ন মহলে নিজের অনুগামীদের নাম প্রার্থী হিসেবে ভাসাতে শুরু করেছেন বিরোধী দলনেতা।


অন্যদিকে, কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের বৈঠকে যোগ না দেওয়া বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এদিন এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেছেন, ‘শিবপ্রকাশজিই তো যাচ্ছেন। আমি এখন মধ্যপ্রদেশেই আছি। আমার কলকাতায় যাওয়ার দিনক্ষণ এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি।’ প্রশ্ন উঠছে, শিবপ্রকাশকে এড়িয়ে যেতেই কি এদিন বাংলায় গেলেন না কৈলাস বিজয়বর্গীয়? কারণ, তাঁর সঙ্গে মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠতা সর্বজনবিদিত। 

এদিকে, এদিনের বৈঠকে পরাজয়ের কারণ নিয়ে দিলীপ ঘোষেদের ব্যাখ্যা জানতে চান শিবপ্রকাশ। দলের রাজ্য সভাপতি তখন সরাসরি তৃণমূল থেকে আসা একাধিক নেতাকে ‘চর’ হিসেবে অভিহিত করেন। রাজ্যের একাধিক নেতা তো এও বলেন যে, এই ‘বিভীষণ’দের মাধ্যমে বিজেপির পরিকল্পনা আগেই তৃণমূলের কাছে ফাঁস হয়ে যেত। দলের কয়েকজন সাধারণ সম্পাদকের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। মুকুল রায়ের দলত্যাগের পর থেকেই গেরুয়া শিবিরে সন্দেহের বাতাবরণ আরও তীব্র হয়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Bengal, #bjp, #suvendu adhikari

আরো দেখুন