গুজরাতের সবরমতী নদী, অসমের ভারু নদীর জলে মিলল করোনা ভাইরাস
নদী-হ্রদের জলও আর নিরাপদ নয়! সেখানেও এবার থাবা বসিয়েছে সার্স কোভ-২ ভাইরাস। সম্প্রতি, গুজরাতের সবরমতী নদী (Sabarmati River) ও অসমের ভারু নদীর জলের নমুনা পরীক্ষা করে তাজ্জব গবেষকরা। তাঁদের দাবি, এই প্রথম কোনও জলের প্রাকৃতিক উৎসে মিলল করোনা ভাইরাস! শুধু নদীতেই নয়, বিশ্বব্যাপী মহামারী সৃষ্টিতে এই অদৃশ্য শত্রুর খোঁজ মিলেছে হ্রদের জলেও। আমেদাবাদের বিখ্যাত হ্রদ কাঁকারিয়া ও চান্দোলা। দু’টি হ্রদের জলেই পাওয়া গিয়েছে মারণ ভাইরাসের সন্ধান। এর আগে নোংরা-আবর্জনা মিশ্রিত জলের নমুনা পরীক্ষায় কোভিড ভাইরাসের দেখা মিলেছে। এবার বিজ্ঞানী, গবেষকদের উদ্বেগ বাড়িয়ে নদী কিংবা হ্রদের অপেক্ষাকৃত পরিষ্কার জলে তার উপস্থিতির প্রমাণ মিলল।
নদীতে কোভিডে (Covid19) আক্রান্ত মৃতদের দেহ ফেলা নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছে উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার। তখনই বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছিল, তা হলে কি নদীর জলেও ছড়াতে পারে সার্স কোভ-২? এ নিয়ে ‘নানা মুনির নাম মত’ সামনে এসেছিল। বিজেপির একাধিক নেতা-নেত্রী আগ বাড়িয়ে নদীর জলে ভাইরাস ছড়ানোর যাবতীয় সম্ভাবনা খারিজ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু হাল ছাড়েননি গবেষকদের একটি দল। আইআইটি গান্ধীনগর সহ দেশের আটটি নামজাদা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের নিয়ে গড়া ওই দলটি নিরলসভাবে নদীর জলের নমুনা পরীক্ষা চালিয়ে গিয়েছিল। তাতেই উঠে আসে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য।
আইআইটি গান্ধীনগরের আর্থ সায়েন্স বিভাগের মণীশ কুমার বলেছেন, ‘দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নর্দমার জলে কোভিড ভাইরাসের সন্ধান মিলেছিল। কিন্তু এখন নদীর জলেও তার দেখা পাওয়া গিয়েছে। আমাদের দলটি ২০২০ সালের ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত সবরমতী জলের ৬৯৪টি নমুনা, কাঁকারিয় হ্রদের ৫৪৯টি এবং চান্দোলা হ্রদের ৪০২টি নমুনা পরীক্ষা করে। প্রতিটি নমুনা পরীক্ষায় কোভিড ভাইরাসের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে।’ গবেষকরা জানিয়েছেন, এটাই এখন প্রমাণ করে নর্দমার জলের পাশাপাশি স্বচ্ছ জলেও জীবিত থাকতে পারে সার্স কোভ-২।