জার্মানির সামনে শোচনীয় পরাজয় রোনাল্ডোদের
দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে জার্মানরা (Germany) কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে, তার সাক্ষী আরও একবার থাকল ফুটবল বিশ্ব। ফ্রান্সের কাছে হারের পর অনেকেই জোয়াকিম লো’র দলকে তেমন গুরুত্ব দিতে চাননি। কিন্তু সবাইকে চমকে দেয় নাবরি-মুলাররা। শুরু থেকে প্রেসিং ফুটবলে পর্তুগাল (Portugal) রক্ষণকে ব্যস্ত রাখে জার্মানি। আর এই চাপের মুখেই কার্যত বশ মানল ফার্নান্দো স্যান্টোসের দল। রোনাল্ডো (Cristiano Ronaldo) স্কোরশিটে নাম তুললেন। পাশাপাশি ডিয়েগো জোতাকে দিয়ে গোলও করালেন। তবে রক্ষণের ব্যর্থতায় হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়লেন পর্তুগিজ মহাতারকা। ৩৬ বছর বয়সেও এই পারফরম্যান্স সত্যিই অবিশ্বাস্য।
ম্যাচের শুরুতেই লিড নিতে পারত জার্মানি। সাইড ভলিতে বিপক্ষ জাল কাঁপান গোজেনসে। কিন্তু মুলারের হ্যান্ডবলের কারণে গোল বাতিল হয়। এরপর দুরন্ত প্রতি-আক্রমণ থেকে রোনাল্ডোর গোল ম্যাচের গতির বিরুদ্ধে দলকে এগিয়ে দেয়। দেখে মনে হবে জোতার পাস থেকে কত সহজেই লক্ষ্যভেদ করল ও। কিন্তু এই গোল অনেকের কাছেই অধরা মাধুরী। ডানপ্রান্তে বার্নাডো সিলভা বল ধরে এগনোর সময় গতির বিস্ফোরণ ঘটাল রোনাল্ডো। বিপক্ষ ডিফেন্ডারদের টেনে নিল নিজের দিকে। এই মুভটাই স্পেশাল। সিলভা বুদ্ধিদীপ্তভাবে বল বাড়িয়ে দেয় সিআরসেভেনের জন্য। কৃতজ্ঞচিত্তে ন্যুয়েরকে হার মানায় পর্তুগিজ মহাতারকাটি (১-০)। কিন্তু ২০ মিনিটের মধ্যেই সমতা ফেরায় জার্মানি। রোনাল্ডোর গোল নিশ্চয়ই জোসুয়া কিমিচদের জাত্যাভিমানে আঘাত হানে। গোজেনসের বাড়ানো বল হাভার্টজ জালে জড়ানোর আগে রুবেন ডিয়াজের পায়ে লেগে জালে জড়ায় (১-১)। মিনিট চারেক পরেই ফের আত্মঘাতী গোল হজম করে ফার্নান্দো স্যান্টোসের দল। ডান প্রান্ত থেকে কিমিচের প্রয়াস রুখতে গিয়ে নিজের গোলেই বল ঢোকায় গুইরেরো (২-১)।
দ্বিতীয়ার্ধে কাই হাভার্ট ব্যবধান ৩-১ করেন। আর মিনিট নয়েক বাদেই স্কোরশিটে নাম তোলেন রবিন গোসেন (৪-১)। এই পর্বে রিজার্ভ বেঞ্চকে দেখে নেন লো। পক্ষান্তরে, ব্যবধান কমানোর লক্ষ্যে মরিয়া চেষ্টা চালায় পর্তুগাল। রোনাল্ডোক পাস থেকে জাল কাঁপান জোতা (৪-২)।