স্টক চেপে রেখে ২১ জুন ‘বিশ্ব রেকর্ড’ ভারতের? টিকাকরণ নিয়ে উঠছে প্রশ্ন
২০ জুন মধ্যপ্রদেশে টিকাকরণ হয়েছিল মাত্র ৬৯২ জনের। অসমে ৩৩ হাজার ৬৫৪ জনের। পরদিন ২১ জুন সেই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় যথাক্রমে ১৭ লক্ষ ও সাড়ে তিন লক্ষে। এই পরিসংখ্যানই এখন প্রশ্নের মুখে। একদিনে ৮৮ লক্ষেরও বেশি মানুষকে করোনার টিকা দিয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে মোদী সরকার। সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে জোরদার প্রশংসা-প্রচার। কিন্তু, এতদিন যেখানে দৈনিক গড়ে ৩০- ৪০ লক্ষের বেশি টিকার ডোজ দেওয়া সম্ভব হয়নি, সেখানে সরকারি টিকাকরণ কেন্দ্রে যাবতীয় ভ্যাকসিনের দায়িত্ব কেন্দ্র হাতে তুলে নিতেই আমচকা কেন এই নজিরবিহীন ঘটনা? এমনকী, এর আগের ও পরের দিন বহু রাজ্যেই টিকাপ্রাপকদের সংখ্যা ছিল বেশ কম। বিষয়টি নিয়েই রাজনৈতিক মহলে উঠছে প্রশ্ন। গত ১ মে থেকে শুরু হয়েছে ১৮-৪৪ বয়সিদের টিকাকরণ কর্মসূচি। দায়িত্বে ছিল রাজ্য সরকার। দৈনিক ভ্যাকসিন (vaccination) দেওয়ার সংখ্যা ছিল গড়পড়তা। কিন্তু, ২১ জুন থেকে সেই দায়িত্ব কেন্দ্র নিজের ঘাড়ে তুলে নিতেই কী করে দৈনিক টিকাকরণের পরিসংখ্যান দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে গেল? তবে কি এই টিকাকরণকে ‘বড়’ করে দেখানোর কোনও গোপন পরিকল্পনা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর? উঠছে সওয়াল।
তারই মধ্যে সামনে এসেছে আরেকটি উল্লেখযোগ্য তথ্য। তা হল, নতুন টিকা নীতি মেনে সোমবার যে ১০টি রাজ্য তার বাসিন্দাদের তারিফ করার মতো ডোজ দিয়েছে, তার মধ্যে সাতটিই বিজেপি এবং শরিক শাসিত। স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, একদিনে রেকর্ড পরিমাণ টিকার ডোজ লাগিয়েছে মধ্যপ্রদেশ, কর্ণাটক, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, গুজরাত, বিহার, অসম। তাই সাধারণ মানুষের ধোঁয়াশা কাটছে না।