সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর উদ্যোগে ধরা পড়ল ভুয়ো ভ্যাকসিনেসন ড্রাইভ!
গিয়েছিলেন করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে সচেতনতা প্রচার করতে, কিন্তু ফল হল উল্টো! অভিনেত্রী-সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর (Mimi Chakraborty) উদ্যোগে ধরা পড়ল ভুয়ো ভ্যাকসিনেসন ড্রাইভ! (false vaccine) থানায় অভিযোগ দায়ের করছেন অভিনেত্রী।
গত মঙ্গলবার কসবার একটি ভ্যাকসিনেসন ড্রাইভ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল মিমিকে। তৃতীয় লিঙ্গের কিছু মানুষ, রূপান্তরকামী, বিশেষভাবে সক্ষম কিছু মানুষ ও দুঃস্থদের ভ্যাকসিনেশনের আয়োজন করা হয়েছিল সেখানে। ভ্যাকসিনেসন ড্রাইভে উপস্থিত হয়ে নিজেও ভঅযাকসিন নিয়েছিলেন মিমি। কিন্তু তারপরেই শুরু হয় সমস্যা।
মিমি বলছেন, ‘ আমায় বলা হয়েছিল, জয়েন্ট কমিশনার অফ কলকাতা কর্পোরেশনের উদ্যোগে একটা ভ্যাকসিনেশন ড্রাইভের আয়োজন করা হয়েছে। তৃতীয় লিঙ্গের কিছু মানুষ, রূপান্তরকামী, বিশেষভাবে সক্ষম কিছু মানুষ ও দুঃস্থদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। সেখানে আমি গেলে সবাই উৎসাহিত হবে। কাজটা ভালো মনে করেই আমি সেখানে যাই। সিদ্ধান্ত নিই আমি নিজেও সেখানে ভ্যাকসিন নেব। কিন্তু ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেই আমার খটকা লাগে। মোবাইলে কোনও মেসেজ আসেনি আমার। সংস্থাটির তরফে বলা হয়, একটু বাদে আসবে। আমি সার্টিফিকেট চাই। তখন বলা হয়, আপনি বাড়ি পৌঁছতে পৌঁছতে সার্টিফিকেট চলে যাবে। কাছেই আমার বাড়ি। ফিরে এসেও সার্টিফিকেট পাইনি। আমার অফিস থেকে লোক সার্টিফিকেট চাইতে গেলে বলা হয় কয়েকদিন সময় লাগবে। কোউইন অ্যাপেও ভ্যাকসিনেসন রেজিস্টার্ড হয়নি।’
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, ভ্যাকসিন নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মোবাইলে মেসেজে সমস্ত তথ্য চলে আসে। কোউইনের ওয়েবসাইটে পাওয়া যায় সার্টিফিকেটও। এর একটিও না মেলায় সন্দেহ হয় অভিনেত্রীর। মিমি বলছেন, ‘আমি তারপর খোঁজ নিই। ওখানে যারা যারা ভ্যাকসিন নিয়েছিল কেউই সার্টিফিকেট পায়নি। পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে বুঝেই আমি সঙ্গে সঙ্গে ওই ড্রাইভ বন্ধ করানোর ব্যবস্থা করি ও প্রশাসনের সহায়তায় থানায় অভিযোগ দায়ের করি। সেই ভিত্তিতে একজন গ্রেফতারও হয়েছে।’
পুলিশ সূত্রে খবর, দেবাঞ্জন দেব নামে ওই ব্যক্তি ভুয়ো আইএএস অফিসার ও জয়েন্ট কমিশনার অফ কলকাতা কর্পোরেশনের পরিচয় দিয়ে ভ্যাকসিনেশন ড্রাইভের আয়োজন করেছিলেন। মিমির অভিযোগের ভিত্তিতে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।