দার্জিলিঙের রাজভবনকে বিজেপি অফিস বানিয়ে ফেলেছেন ধনখড়, তোপ গৌতম দেবের
রাজ্যপাল ও রাজ্যের শাসক শিবিরের সংঘাত লেগেই রয়েছে। আজই রাজ্যপালকে নিশানা করে তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “উনি কোনও কাজে আসেন না। সব সময় শুধু ট্যুইট করে বেড়ান।” এবার রাজ্যপালকে আক্রমণ করলেন তৃণমূল নেতা গৌতম দেব।
তিনি অভিযোগ করে বলেছেন, কলকাতা থেকে কিছু লোক নিয়ে এসে দার্জিলিংয়ের রাজভবনকে রাজ্যপাল বিজেপির পার্টি অফিস বানিয়ে ফেলেছেন। যাঁরা পৃথক রাজ্যের দাবি তুলছেন তাঁদের সঙ্গে শলা পরামর্শ করছেন। উত্তরবঙ্গকে অনেক শান্ত করা হয়েছে। সেই শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করতে রাজ্যপাল দার্জিলিং এসেছেন। প্রসঙ্গত, সাতদিনের সফরে উত্তরবঙ্গ গেছেন রাজ্যপাল।
রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত নতুন মোড় নিয়েছে বিধানসভার অধ্যক্ষের অভিযোগে। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে লোকসভার অধ্যক্ষের কাছে নালিশ জানিয়েছেন বিধানসভার অধ্যক্ষ। ভার্চুয়াল বৈঠকে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন, কোনও বিল পাস করে পাঠানো হলেও, রাজ্যপালের অনুমতি মিলছে না। সই না করে তিনি বিল ফেরত পাঠাচ্ছেন, এমনকী আটকেও দিচ্ছেন। বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরও অভিযোগ, বিধানসভা অধ্যক্ষের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়লেও, বিধানসভার অভ্যন্তরীণ প্রশাসনে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।
তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, রাজ্যপাল অন্যায় করছেন, অধিকারের বাইরে গিয়ে কথা বলছেন। মানুষ এখন কালো পতাকা দেখাচ্ছে, এরপর লোকে তাড়া করবে। রাজ্যপাল পদের প্রয়োজন নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, মানুষের বিপুল জনাদেশ পেয়ে জিতেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে প্রতি মুহুর্তে এভাবে বিব্রত করার চেষ্টা মানুষ ভালোভাবে নেবেন না।
সম্প্রতি দিল্লি সফরে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। সেখানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে দুবার বৈঠক করেছিলেন তিনি। বৈঠকের পর রাজ্যে ভোট-পরবর্তী হিংসার অভিযোগ নিয়ে ফের রাজ্য সরকারকে নিশানা করেছেন রাজ্যপাল। তাঁর অভিযোগ, স্বাধীনতার পর এমন ভোট পরবর্তী হিংসা দেশে বিরল। পাল্টা তৃণমূল অভিযোগ করেছে, বিজেপির হয়ে কাজ করছেন রাজ্যপাল। তিনি তাঁর পদের নিরপেক্ষতা পালন করতে পারছেন না।