আলিপুরদুয়ারের চার বিধায়ক তৃণমূলের পথে
তৃতীয়বারের জন্য বিপুল ভোটে জিতে ক্ষমতায় এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল (Trinamool) সরকার। আর তারপর থেকেই বিজেপিতে ভাঙনের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আর সেই আশঙ্কা ধীরে ধীরে বাস্তবের রূপও নিচ্ছে। বিজেপির শক্ত ঘাঁটি উত্তরবঙ্গেও এবার থাবা বসাতে চলেছে তৃণমূল।
আলিপুরদুয়ার দিয়েই শুরু হচ্ছে বিজেপির (BJP) বড় ভাঙন। জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা ইতিমধ্যেই তৃণমূলে যোগদান করেছেন। সূত্রের খবর, এবার আলিপুরদুয়ারের আরও চার বিধায়ক মনোজ কুমার ওঁরাও, বিশাল লামা, দীপক বর্মন এবং সুমন কাঞ্জিলাল খুব শিগগির বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসতে চলেছেন।
কুমারগ্রামের বিধায়ক মনোজ কুমার ওঁরাও তৃণমূলের প্রার্থী লেওস কুজরুকে ১১,০০০ ভোটে হারিয়ে তিনি জয়লাভ করেন। কালচিনির বিধায়ক বিশাল লামা তৃণমূলের পাসাং লামাকে সাড়ে ২৮,০০০ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন। ফালাকাটার বিধায়ক দীপক বর্মন তৃণমূলের প্রার্থী সুভাষ চন্দ্র রায়কে ৪,০০০ ভোটে পরাজিত করেছেন। আলিপুরদুয়ার বিধানসভায় তৃণমূলের সৌরভ চক্রবর্তীকে ১৬,০০০ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে জিতেছিলেন সুমন কাঞ্জিলাল।
এদিকে ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দেওয়া আলিপুরদুয়ারের তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি মোহন শর্মাও ‘ঘর ওয়াপসি’- র ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। কিন্তু খারাপ সময়ে দলকে ছেড়ে যাওয়া ‘গদ্দার’ – দের দলে ফেরত নেবেন না একথা আগেই জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো মোহনকে আর দলে নেবে না তৃণমূল কংগ্রেস, এমনটাই জানা যাচ্ছে সূত্র মারফত।
কিন্তু কেন হঠাৎ আলিপুরদুয়ারে এই দলবদল? অনেকেই মনে করছেন এর পেছনে রয়েছে বিজেপির বিভাজনের মানসিকতা। উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য করার দাবিতে সরব হয়েছেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বারলা। আর তারই প্রতিবাদে তাঁর লোকসভা কেন্দ্রের চার বিধায়কই এখন দলবদলের পথে।
আলিপুরদুয়ারে বিজেপির যথেষ্ট ভালো ফল হওয়ার পরেও এই ভাঙন নিশ্চিতভাবে অশনি সংকেত। মুকুল রায় তৃণমূলে ফিরে আসার পর থেকেই বিজেপির ভাঙন নিয়ে নিশ্চিত ছিল রাজনৈতিক মহল। বিজেপির অন্দরমহলেও এই একই আশঙ্কা ছিল। এখন তাই সত্যি হওয়ার পথে।