সব ডাক্তারের মাস্ক বাধ্যতামূলক, রোগীরও
রাজ্যে যত টেস্ট বাড়ছে, তত বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। মাথাব্যথা ডাক্তার-নার্সদের পরপর আক্রান্ত হওয়া নিয়েও। শনিবারই যেমন নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মী-সহ ৫ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে হাওড়ার নারায়ণা হাসপাতালে।
এই অবস্থায় এদিন সব সরকারি হাসপাতালের যাবতীয় বিভাগের সব ডাক্তারকে মাস্ক পরে চিকিৎসা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এবং তা করতে হবে যতটা সম্ভব শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখেই। এমনি হাসপাতালের আউটডোরে আসা রোগী-পরিজনকে তো বটেই, কোভিড হাসপাতালগুলিতে ইন্ডোরে ভর্তি রোগীকুলকেও সর্বক্ষণ থ্রি-লেয়ারড মাস্ক পরে থাকতে হবে। তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না বাড়ির লোকও। রোগীদের জন্য ব্যবহার করতে হবে আলাদা লিফট। কোভিড হাসপাতালে কোনও রোগী নিজের কাছে মোবাইল ফোন রাখতে পারবেন না। করোনাভাইরাসকে বশে রাখতে এ বার এমনই একগুচ্ছ কড়া নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর।
শনিবার সন্ধ্যায় জারি হওয়া এই নির্দেশিকার মধ্যে প্রসূতিদের সম্পর্কেও বিস্তারিত সতর্কতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে মায়ের থেকে সন্তানের শরীরে সংক্রমণ ছড়ানো ঠেকাতে প্রাথমিক ভাবে দু’জনকে আলাদা রাখার নিদানও দেওয়া হয়েছে।
মেডিক্যাল, আরজি কর-সহ একাধিক হাসপাতালে সম্প্রতি প্রসূতির থেকে কোভিড-১৯ ছড়িয়েছে। তাই প্রসূতির স্বাস্থ্যের উপর বিশেষ নজর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে নির্দেশিকায়। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া সব প্রসূতির ক্ষেত্রেই সিজারের বদলে স্বাভাবিক প্রসবে জোর দেওয়া হয়েছে।
বলা হয়েছে, সন্তান প্রসবের পর ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে যতক্ষণ না মায়ের কোভিড সোয়াব টেস্টের রিপোর্ট পর পর দু’বার নেগেটিভ আসছে, ততক্ষণ প্রসূতি ও নবজাতককে আলাদা করেই রাখতে হবে হাসপাতালে। এমনকী, উপসর্গ না-থাকলেও সদ্যোজাতের করোনা পরীক্ষা করতে হবে তার ১৪ দিন বয়সে। এর মধ্যে স্তন্যদানের সময়ে স্তনের পরিচ্ছন্নতায় গুরুত্ব দেওয়ার পাশাপাশি মায়ের থ্রি-লেয়ারড মাস্ক পরাও বাধ্যতামূলক।
করোনায় আক্রান্ত চিকিৎসকর্মীদের তালিকা ক্রমেই লম্বা হচ্ছে। বাড়ছে অন্য রোগ নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা। এ বার তাই ডাক্তার, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশাপাশি রোগী ও তাঁদের পরিজনের জন্যও কড়া নির্দেশিকা জারি করেছে স্বাস্থ্য দপ্তর।