রাজ্যে দৈনিক করোনা সংক্রমণ রইল দু’হাজারের নিচেই
মাসখানেকের উপর কড়া বিধিনিষেধের সুফল। করোনাকে (COVID 19) হারানোর লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে বাংলা (West Bengal)। শুক্রবারের পরিসংখ্যানেও রাজ্যে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা দু’হাজারের নিচেই। একটা সময় সক্রিয় রোগীর সংখ্যা হু হু করে বাড়তে থাকায় হাসপাতালে বেড পাওয়া কিংবা অক্সিজেন সংকটের কারণে নাজেহাল হতে হয়েছিল রাজ্যবাসীকে, সেই পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি ঘটেছে। প্রতিদিনই একটু একটু করে কমছে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা।
এদিন রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের দেওয়া বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার (Corona Virus) কবলে পড়েছেন ১,৯৩৩ জন। এর মধ্যে শহর কলকাতায় একদিনে আক্রান্ত কমে ১৯০ জন। কয়েক সপ্তাহ আগেই যে সংখ্যাটা ছিল দৈনিক ৩ হাজারেরও বেশি। সংক্রমণের নিরিখে এদিনও অবশ্য ফের তিলোত্তমাকে ছাপিয়ে গেল উত্তর ২৪ পরগনা। একদিনে সেখানে ২৩৭ জনের শরীরে মারণ ভাইরাসের হদিশ মিলেছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় একদিনে সংক্রমিতের সংখ্যা ১১২। হাওড়া ও হুগলিতে একদিনে আক্রান্ত যথাক্রমে ১১৩ ও ১১২ জন। তবে এখনও উদ্বেগে রাখছে রাজ্যের অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটনস্থল দার্জিলিং। ২৪ ঘণ্টায় ১৬৭ জন করোনা পজিটিভ হয়েছেন সেখানে। ফলে রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ১৪ লক্ষ ৯১ হাজার ২১৯ জন। একদিনে ভাইরাসের বলি ৩৫ জন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ১৭ হাজার ৫৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে কোভিড-১৯-এ।
তবে করোনা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াইয়ে আশার আলো দেখাচ্ছেন কোভিডজয়ীরাই। গত ২৪ ঘণ্টাতেই যেমন সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১,৯৭৫ জন। এ নিয়ে মোট ১৪ লক্ষ ৫১ হাজার ৪৩৭ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। বর্তমানে সুস্থতার হার ৯৭.৩৩ শতাংশ। বর্তমানে করোনায় চিকিৎসাধীন ২২ হাজার ২৩১ জন। করোনা রোগী চিহ্নিত করতে চলছে টেস্টিংও। রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের বুলেটিন বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৫৫ হাজার ৫৫৭ জনের। কসবা, সোনারপুর-সহ কলকাতার একাধিক জায়গায় ভুয়ো টিকাকরণের ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক আকচা-আকচির মধ্যেই অবশ্য ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়াও চলছে দ্রুতগতিতেই। ১৮ ঊর্ধ্ব প্রত্যেককেই সুষ্ঠুভাবে টিকা পাইয়ে দিতে তৎপর রাজ্য প্রশাসন।