ভুয়ো টিকা: তদন্তে স্বাস্থ্যদপ্তরের ২ কমিটি, বেসরকারি টিকাকরণ শিবির নিয়ে কড়া নবান্ন
শিবিরে যাঁরা ভ্যাকসিন দিচ্ছেন, তাঁরা স্বাস্থ্যকর্মী কি না, তাও দেখে নিতে হবে।

বেসরকারি টিকা শিবির (Vaccination Camp) নিয়ে এবার কড়া পদক্ষেপ নিল নবান্ন (Nabanna)। এখন থেকে কোনও টিকাকরণ শিবির করতে গেলে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বা ব্লক মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের অনুমতি নিতে হবে। বেসরকারি টিকা শিবির চালাতে হলে নার্সিংহোমের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে করতে হয়। সেক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের বেঁধে দেওয়া তালিকার বাইরে কোনও নার্সিংহোমের সঙ্গে শিবির করা যাবে না। এই মর্মে শুক্রবার জেলায় জেলায় মৌখিকভাবে বার্তা পাঠানো হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর।
এদিকে, এদিন বিকেলে একটি অ্যাডভাইজারি (Advisory) জারি করেছে স্বাস্থ্যদপ্তর। সেখানে স্পষ্ট বার্তা, ভ্যাকসিনের অ্যাপ ব্যবহার না করে টিকা দেওয়া চলবে না। অন্যদিকে, জাল ভ্যাকসিন কাণ্ডের তদন্তে দু’টি কমিটি গঠন করল রাজ্য। একটি দুই সদস্যের কমিটি, সদস্যরা হলেন ডাঃ তনিমা মণ্ডল ও ডাঃ কাজল মণ্ডল। আরেকটি চার সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি। তারা জাল টিকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া খতিয়ে দেখবে। এর সদস্যরা হলেন ডাঃ শান্তনু ত্রিপাঠী, ডাঃ জ্যোতির্ময় পাল, ডাঃ সৌমিত্র ঘোষ ও ডাঃ গোপালকৃষ্ণ ঢালি। এছাড়া কসবা কাণ্ডের পর বেসরকারি টিকা শিবির নিয়ে আরও সতর্ক লালবাজারও। তারা বলেছে, এলাকায় কোথাও টিকা শিবির হলে পুলিসকে গিয়ে নজরদারি চালাতে হবে। বৈধ কাগজপত্র আছে কি না, খতিয়ে দেখবে পুলিস। প্রয়োজনে কলকাতা পুরসভা এবং স্বাস্থ্যদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে নেবে। শিবিরে যাঁরা ভ্যাকসিন দিচ্ছেন, তাঁরা স্বাস্থ্যকর্মী কি না, তাও দেখে নিতে হবে। যাঁরা ক্যাম্প চালাচ্ছেন, তাঁদের ঠিকুজি-কুষ্ঠিও খতিয়ে দেখা হবে।