এবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে মুকুল রায়ের নির্বাচনী এজেন্ট

নদিয়ায় বিজেপিতে (BJP) বড়সড় ভাঙন। মুকুল রায় (Mukul Roy) তৃণমূলে যোগদানের পর অবশ্য তা খানিক প্রত্যাশিতই ছিল। এবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন কৃষ্ণনগর উত্তরে মুকুল রায়ের নির্বাচনী এজেন্ট হিসেবে কাজ করা অরূপ দাস। তাঁর সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন ব্যক্তি যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে (TMC)। ফলে নদিয়া জেলায় তৃণমূলের শক্তি আরও বাড়ল। ক্ষয়িষ্ণু বিজেপি।
বছর চারেক গেরুয়া শিবিরে থাকার সুবাদে মুকুল রায়ের নেতৃত্বে সংগঠনও তৈরি হয়েছিল ভালভাবেই। খানিকটা অপরিচিত কেন্দ্র কৃষ্ণনগর উত্তর (Krishnanagar Uttar) বিধানসভা থেকে একুশের ভোটে তিনি জিতেছিলেন হেলায়। সেখানকার তারকা তৃণমূল প্রার্থী কৌশানী মুখোপাধ্যায়কে হারানোর জন্য খুব বেশি প্রচার করতে হয়নি। নদিয়ায় বিজেপির সদ্য তৈরি হওয়া শক্ত ঘাঁটির উপর ভিত্তি করে মুকুলের জয় অনায়াস হয়েছে। তবে ভোটের ফলাফলের পরই তিনি শিবির বদল করে পুরনো দলে ফিরেছেন। তৃণমূল আবার স্বমহিমায় ফিরে এসেছেন মুকুল রায়। পেয়েছেন দায়িত্বও।
আর তারপর থেকেই তাঁর অনুগামীদের মধ্যে দলবদলের ব্যাপক হিড়িক দেখা গিয়েছে। অনেকেই মুকুলের হাত ধরে যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে (TMC)। এবার নদিয়ায় তাঁর নিজের নির্বাচনী এজেন্টই যোগ দিলেন শাসক শিবিরে। রবিবার দুপুর সদলবলে অরূপ দাস তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নিলেন। শিবির বদলের পর তিনি বলেন, ”যে দলের মানসিকতা ছোট, মানুষের কথা ভাবে না, মুখে বলে অথচ কাজে করে না, সেই দল করা যায় না। জেলা বিজেপি নেতৃত্বও অপদার্থ। তাই দলে থাকতে পারিনি।” এই যোগদান নদিয়া জেলায় বিজেপির পক্ষে বড়সড় ধাক্কা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তবে এ নিয়ে এখনও জেলা বিজেপির তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
অন্যদিকে, এদিন আসানসোলের জেলা বিজেপি সম্পাদক মদনমোহন চৌবে-সহ প্রায় হাজার তিনেক কর্মী, সমর্থক যোগ দিলেন তৃণমূলে। রবিবার আসানসোল উত্তরের তৃণমূল বিধায়ক মলয় ঘটকের হাত ধরে দলীয় পতাকা তুলে নেন। জেলা সম্পাদকের বক্তব্য, ভ্রষ্টাচারে জড়িয়ে পড়েছে দল। আর সেখানে থাকা যাচ্ছে না। তাই দলবদলের সিদ্ধান্ত।