রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

বিশ্বাসের অভাব! এবার বিজেপি কর্মীদের ফেসবুক পোস্টেও নজরদারি চালাবে রাজ্য নেতৃত্ব

June 27, 2021 | 2 min read

Image processed by CodeCarvings Piczard ### FREE Community Edition ### on 2020-08-20 20:37:45Z | | <(bº<yÞ&Âf

একুশের নির্বাচনে পরাজয়ের পর বিজেপি (BJP) নেতৃত্বের ধারণা এসবের পেছনে রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার অন্তর্ঘাত। তাই এবার ছাকনি নিয়ে নামতে চলেছে গেরুয়া শিবির। তারা ঠিক করেছে বিজেপি বিরোধী কারও সঙ্গে ফেসবুকে (Facebook) বন্ধুত্ব পাতালেই শোকজের চিঠি পাঠাবে দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি! এখন এই কঠোর ফতোয়া জারি করা হয়েছে গেরুয়া শিবিরে। এমনকী সোশ্যাল মিডিয়ায় দলবিরোধী কোনও পোস্টে নিজের লাইক দিলেও তার জবাবদিহি করতে হবে শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে!

ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিচুতলার কর্মী থেকে শুরু করে রাজ্য স্তরের কয়েকজন নেতাও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তাই বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের আশঙ্কা, এই ধারা অব্যাহত থাকলে পার্টিতে অনুশাসন বলে আর কিছু থাকবে না। তাই এবার সক্রিয় করে তোলা হয়েছে দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটিকে।

জানা গিয়েছে, পার্টি বিরোধী মন্তব্য করার জন্য শোকজ করা হয়েছে নিচুতলার নেতা–কর্মীদের কয়েকজনকে। এমনকী রাজ্য দফতরে ডেকে বেশ কয়েকজনকে কড়কে দেওয়া হয়েছে। বিজেপির শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির মাথায় বসানো হয়েছে বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকারকে। তাঁর কথায়, ‘‌আমরা নেতা–কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছি, দলবিরোধী পোস্ট না করতে। দলবিরোধী কাউকে ফেসবুকের বন্ধু তালিকায় রাখা যাবে না। না হলে পার্টি কড়া ব্যবস্থা নেবে।’‌

দলীয় সূত্রে খবর, বহু বিজেপি কর্মী নিজেরা সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু না লিখলেও অন্য কোনও বিক্ষুব্ধ কর্মীর পোস্টে লাইক বা কমেন্ট করেছেন। তার স্ক্রিনশটও বিজেপির শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির হাতে এসে পৌঁছেছে। যদিও দলের অন্দরের ক্ষোভ–বিক্ষোভ চাপা দিতে এই তালিবানি ফতোয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিজেপির অন্দরেই। এই নিয়ে অনেকেই বলছেন, ‘‌এটা কেমন ফতোয়া! ফেসবুকে কে কার বন্ধু হবেন, সেটাও দল ঠিক করে দেবে নাকি! এভাবে কর্মীদের ক্ষোভ চেপে রাখা অসম্ভব।’‌

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Facebook, #BJP Bengal

আরো দেখুন