উত্তরের সব জেলাতেই চালু হবে আরটিপিসিআর ল্যাব
উত্তরবঙ্গের (North Bengal) সব জেলাতেই আরটিপিসিআর (RTPCR) পরীক্ষার জন্য ল্যাব (Lab) তৈরি হবে। করোনা সংক্রমণের সম্ভাব্য তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে সন্দেহজনক ব্যক্তিদের পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোর উপর গুরুত্ব দিচ্ছে স্বাস্থ্যদপ্তর। সেই লক্ষ্যে উত্তরবঙ্গের জেলায় জেলায় আরটিপিসিআর পরীক্ষার জন্য ভিআরডি ল্যাব তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সোমবার উত্তরবঙ্গ ডেন্টাল কলেজে সেফ হোমের দ্বারোদ্ঘাটন অনুষ্ঠানের এসে এক প্রশ্নের উত্তরে এ কথা জানান জনস্বাস্থ্য বিভাগের উত্তরবঙ্গের ওএসডি ডাঃ সুশান্তকুমার রায়।
করোনা সংক্রমণে দেখা দেওয়ার পর গতবছর উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে উত্তরবঙ্গের প্রথম এ ধরনের পরীক্ষার জন্য ভিআরডি ল্যাব চালু হয়। তারপর মালদহ, কোচবিহার সহ উত্তরবঙ্গে মোট চারটি মেডিক্যাল কলেজেই এই ল্যাব চালু হয়েছে বলে জানান ওএসডি।
করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের গ্রাফ এখন নিম্নমুখী। তাহলেও তৃতীয় ঢেউ প্রতিরোধ বা মোকাবিলা করার জন্য স্বাস্থ্যদপ্তর প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে। করোনা সংক্রামিতদের জন্য চিকিৎসা পরিকাঠামো বাড়ানোর করার পাশাপাশি পরীক্ষার উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। দার্জিলিংয়ের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ প্রলয় আচার্য বলেন, সামান্য উপসর্গ বা শারীরিক সমস্যা দেখা দিলেই সাধারণ মানুষকে আমরা দ্রুত করোনা পরীক্ষা করার জন্য পরামর্শ দিচ্ছি। তারজন্য জেলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রয়েছে। করোনা হলেই মৃত্যু হয় না। সময়মতো পরীক্ষা না করে অবহেলা করলেই করোনা সংক্রমণে মৃত্যু হতে পারে। এই দিকটি আমরা প্রচারে জোর দিয়েছি।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি আরও বলেন, সংক্রমণ নিম্নমুখী হতে হতে গত তিন-চারদিন ধরে দার্জিলিং জেলায় আবার সংক্রমণের হার কিছুটা বেড়েছে। এটা বিপদ ঘণ্টা হতে পারে। তাই এই সংক্রমণ বৃদ্ধিকে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। ডাঃ সুশান্তকুমার রায় বলেন, উত্তরবঙ্গের প্রতিটি মানুষ যাতে দ্রুত পরীক্ষা করিয়ে নিতে পারেন, তারজন্য প্রতিটি জেলায় প্রয়োজনীয় ল্যাব তৈরির কাজ চলছে। আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়িতে এই ল্যাবের কাজ শেষের পথে। যেখানে এমন ল্যাব নেই সেইসব জেলাতেও শীঘ্রই চালু হয়ে যাবে। করোনার তৃতীয় ঢেউ এলে তা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সংক্রমণ দ্রুত চিহ্নিত করে সংক্রামিত ব্যক্তিকে আইসোলেশনে রেখে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। সেজন্য করোনা সংক্রামিতদের চিকিৎসার জন্য চিকিৎসা কেন্দ্র তথা বেড বৃদ্ধির ব্যাপারেও প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। জুলাই মাসের মধ্যেই আমরা সব প্রস্তুতি সেরে ফেলতে পারব।