বিধানসভায় ভাষণ: তুমুল সংঘাতে রাজ্য বনাম ধনখড়
গতবারের মতো এবছরও বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের সূচনা পর্বে তাঁর ভাষণ টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করার পক্ষে নিজেই সওয়াল করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতিতে স্থানাভাবের কারণে এবার সদনে কোনও বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমকে ক্যামেরা নিয়ে প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছেন না অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Biman Banerjee)। তাই রাজ্যপালের অনুরোধ মানা সম্ভব হচ্ছে না বলে রাজভবনকে জানিয়ে দিয়েছে অধ্যক্ষের সচিবালয়। রাজভবন সূত্রের খবর, বিধানসভার এহেন সিদ্ধান্তে বেজায় চটেছেন ধনখড়। সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে তিনি তাঁর এই ক্ষোভের ইঙ্গিতও দিয়েছেন। সরকার পক্ষ তাঁর ভাষণ পরিকল্পনা করেই ব্ল্যাকআউট করছে বলে মনে করছেন রাজ্যপাল। যদিও তাঁর এই ধারণা সম্পূর্ণ অমূলক বলে মনে করে শাসক শিবির।
২ জুলাই রাজ্যপালের ভাষণের মাধ্যমে আসন্ন বাজেট অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা। ওইদিন বেলা ২টোয় ধনখড়ের সদনে এসে এই ভাষণ পড়ার কথা। কিন্তু ভাষণের খসড়া দেখে তার কয়েকটি তথ্য নিয়ে তিনি ইতিমধ্যেই আপত্তি তুলেছেন। সোমবারই এনিয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) চিঠি দিয়েছেন বয়ান বদল করার বিষয়ে আলোচনার জন্য। মঙ্গলবার সেই কারণে মমতাকে রাজভবনে আসার আমন্ত্রণও জানিয়েছিলেন। কিন্তু সাংবিধানিক নিয়মের যুক্তি তুলে ধরে মমতা তাঁর আমলা ও ঘনিষ্ঠ মহলে সাফ জানিয়েছেন, নবান্নের লিখে দেওয়া বয়ানের একটি শব্দও বদল করা হবে না। সেই কারণে এদিন অন্তত তাঁর রাজভবনে যাওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।
রাজ্যপালের এই ধরনের আচরণ কোনওভাবেই বরদাস্ত করব না। মুখ্যমন্ত্রীর মনোভাব বুঝে নবান্নের তরফেও এব্যাপারে রাজভবনের সঙ্গে কোনওরকম যোগাযোগ করা হয়নি। তবে এই সংঘাতের জেরে রাজ্যপালের ভাষণ চূড়ান্ত হওয়ার বিষয়টি থমকে রয়েছে। হাতে সময় খুব কম থাকায় নবান্নের আধিকারিকরা ভাষণ ছাপতে কখন দেবেন তা নিয়ে কিছুটা উদ্বেগে রয়েছেন।