কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার রদবদলেও বঞ্চিত থাকবে বাংলা? গুঞ্জন দিল্লিতে
সংসদের বাদল অধিবেশনের আর বেশিদিন বাকি নেই। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় রদবদলের সম্ভাবনা আরও জোরালো হচ্ছে। মোদীর মন্ত্রিসভায় রদবদলের জল্পনা যখন চলছে সেই সময়েই বিজেপির শীর্ষ নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গে একের পর এক বৈঠক করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
সামনেই ত্রিপুরা, পঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশের মত বেশ কিছু রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। এদিকে শোনা যাচ্ছে এনডিএ শরিকরাও নাকি বিজেপিকে চাপ দিচ্ছে সরকারে আরও বেশি প্রতিনিধিত্বের দাবিতে। এই অবস্থায় মন্ত্রিসভায় রদবদল না আনলে আবার বাংলার মতো ভরাডুবির আশঙ্কা করছে বিজেপির নেতৃত্ব, এরকম খবর শোনা যাচ্ছে। শোনা যাচ্ছে ২৭টি নতুন মুখ আসতে পারে মন্ত্রিসভায়। প্রাধান্য পেতে পারে ইউপি এবং পঞ্জাব।
সূত্রের খবর, শীর্ষ চারটি মন্ত্রকে কোনও রদবদল করবেন না মোদী। অর্থাৎ অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ নিজ নিজ পদেই বহাল থাকবেন।
দেবশ্রী চৌধুরী
ক্ষমতার অলিন্দের জল্পনা এই যে এবারের রদবদলেও শিকে ছিঁড়বে না বাংলার। রাজ্য থেকে নতুন মুখ বড়জোর এক বা দুজন। বর্তমান মন্ত্রীদেরও পদোন্নতি নাও হতে পারে। ব্যতিক্রম নন দেবশ্রী চৌধুরী। নারী ও শিশুকল্যাণ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী তাই হারাতে পারেন মন্ত্রিত্ব।
বাবুল সুপ্রিয়
বিধানসভা নির্বাচনে বিধায়ক হবার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সেখানে লজ্জার হার। আসানসোলে তার লোকসভা আসনের অনর্গত ৭টি আসনের ৫টিতেই হেরেছে বিজেপি। সুতরাং যদি তাঁর মন্ত্রিত্ব বজায় থাকে, সেটাই তাঁর কাছে বড় পাওনা বলে মনে করছেন অনেকেই।
হরদীপ সিংহ পুরী
অসামরিক বিমান পরিষেবা এবং আবাসন ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী পুরী একজন পঞ্জাবি, আর রাজ্যসভায় প্রতিনিধিত্ব করেন উত্তর প্রদেশের। তিনি আবার মোদীর চাটুকারদের মধ্যে অন্যতম, এরকম বদনাম নাকি আছে তার। সুতরাং, পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনের আগে তিনি পেতেই পারেন আরও গুরুত্বপূরণ মন্ত্রিত্ব, এরকমই শোনা যাচ্ছে।
জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া
২০২০-র মার্চ মাসে ২২ বিধায়ক নিয়ে কংগ্রেস ছাড়েন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। ফলে পতন হয় মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস সরকাররের। তার হাত ধরেই রাজ্যে ক্ষমতায় আসে বিজেপি। ফলস্বরূপ এবার রদবদলে পুরস্কৃত হবেন তিনি। হরদীপের জায়গায় অসামরিক বিমান পরিষেবা মন্ত্রী হতে পারেন সিন্ধিয়া। তার বাবা মাধবরাও সিন্ধিয়াও দীর্ঘকাল এই দায়িত্ব সামলেছিলেন।
জনতা দল (ইউনাইটেড)
বিহারে বিজেপির জোটসঙ্গী। ইতিমধ্যেই রাজ্যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি জটিল হয়ে পড়ায় সরকার সিঁদুরে মেঘ দেখছে। তাই, শরিককে খুশি করতে লোকসভার ডেপুটি স্পিকারের পদ দেওয়া হতে পারে জেডিইউএর কোনও সাংসদকে। উলেখ্য, ডেপুটি স্পিকারের পদটি সাধারণত বিরোধী দল পেয়ে থাকে। একদিকে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় যখন পিএসি নিয়ে প্রথার দোহাই দিচ্ছে গেরুয়া শিবির, লোকসভায় তার উলটপুরাণ আবারও বিজেপির দ্বিচারিতা স্পষ্ঠ করল।