‘স্কুলের ফি দিতে না পারলে মরে যান’ অমানবিক নিদান বিজেপি মন্ত্রীর
করোনা পরিস্থিতিতে স্কুলের অতিরিক্ত ফি মকুবের দাবিতে মন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিভাবকরা। তাঁরা ভেবেছিলেন, মন্ত্রীর কাছে তাঁদের সমস্যার কথা তুলে ধরলে কিছুটা হলেও সুরাহা হতে পারে। কিন্তু কিছুই হল না। উল্টে মন্ত্রীর কাছ থেকে জুটল ভর্ৎসনা। ভাইরাল ভিডিয়োয় তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘না পারলে মরে যান।’ স্বভাবতই মন্ত্রীর এহেন আচরণে ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা।
ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশে। অনেকদিন ধরেই অভিভাবকরা অভিযোগ করে আসছিলেন, অধিকাংশ স্কুলই নিয়ম অমান্য করে ফি বাবদ অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে। মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের যেখানে অতিরিক্ত টাকা না নেওয়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, সেখানে কীভাবে স্কুলগুলি এই অতিরিক্ত টাকা নিয়ে যাচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অভিভাবকরা। সম্প্রতি এই অভিযোগ নিয়ে মধ্যপ্রদেশের শিক্ষামন্ত্রী ইন্দর সিং পারমারের (Inder Singh Parmar) সঙ্গে করতে যান অভিভাবকরা। কিন্তু অভিযোগ শোনা তো দূরের কথা, শিক্ষামন্ত্রী অপমান করলেন অভিভাবকদের। অভিভাবকদের দাবি ছিল, শিক্ষামন্ত্রী বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করুন। স্কুলগুলি যাতে ফি কমায়, সেই বিষয়টি যাতে তিনি দেখেন। কিন্তু এই সব না করে উল্টে শিক্ষামন্ত্রী রেগে যান। বলে ওঠেন, ‘আপনারা যা ইচ্ছে তাই করুন। না পারলে মরে যান।’
এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়ে গিয়েছে। কংগ্রেসের তরফে মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের কাছে শিক্ষামন্ত্রীকে অপসারণের দাবি তোলা হয়েছে। মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেসের মুখপাত্র নরেন্দ্র সালুজা বলেন, ‘উনি একজন নির্লজ্জ ব্যক্তি। অভিভাবকরা তাঁর কাছে অভিযোগ নিয়ে গিয়েছিল। উনি দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো আচরণ করেছেন। ওনাকে দ্রুত পদ থেকে সরানো উচিত।’ এই প্রসঙ্গে সরব হয়েছেন অভিভাবকরাও। তাঁরা জানান, শিক্ষামন্ত্রীর উচিত অভিভাবকদের কাছে ক্ষমা চাওয়া। শিক্ষামন্ত্রী নিজে যদি পদত্যাগ না করেন, তাহলে মুখ্যমন্ত্রীর উচিত তাঁকে অপসারিত করা।