জেএনইউ কাণ্ডে গর্জে উঠল বাংলার সুশীল সমাজের কলম
”যে তোমাকে শিখিয়েছে দখলের কথা,
জেনো সে ধর্মই নয়। প্রাতিষ্ঠানিকতা’- (শ্রীজাত)
জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের উপর এবিভিপির অত্যাচারের প্রতিবাদে মিছিল মিটিং চলছেই। সাধারণ মানুষ থেকে বিনোদন জগতের ব্যক্তিত্বরা সাহস করে মুখ খুলেছেন অনেকেই। যে কোনও প্রতিবাদেই অন্যতম হাতিয়ার কলম।
যে প্রতিবাদের আঁচ ধিক ধিক করে জ্বলছিল শ্রীজাত, সম্রাজ্ঞী, সৌকর্যদের লেখা তাতে ঘি ঢালল। ফয়েজ আহমেদ ফয়েজের একটি কবিতার অনুবাদ করে শ্রীজাত লিখলেন, বলো, এ সময় সামান্য, তবু ঢের। ‘জিভ কাটা যাক, শরীরও পুড়তে রাজি’।
সৌকর্য আরও একবার মনে করালেন ইতিহাসকে। মনে করালেন এই বাংলার ভক্তি আন্দোলনের কথাও। ‘তোমরা যখন “জয়শ্রীরাম” বলাও শিক্ষা বলে “চৈতন্য হোক”’। সম্রাজ্ঞীর প্রতিবাদেও উঠে এল সেই একই সুর-
‘শিক্ষা পাল্টা মারতেও পারে জেনো
কিন্তু সে মার অন্যরকম সেনার
সেখানে বারুদ গুলি নেই কোনো বোমা।’
বুদ্ধায়ন ধরল গান। কেউ আঁকল পোস্টার। আমাদের দেশে সত্যিরা, স্বপ্নরা আজও বেঁচে থাকে। ধর্ম, প্রাতিষ্ঠানিকতাকে এ দেশ ভয় পায় না। এ দেশের বুকে আবারও নেমে আসবে আঠারোরা। বাংলার গান, বাংলার লেখাকে সম্বল করেই বাংলা দেখবে নতুন স্বপ্ন।