রোগী সেজে অ্যাম্বুল্যান্সে ফিরছেন পরিযায়ীরা
অ্যাম্বুল্যান্সে করে অন্তঃসত্ত্বা বা মরণাপন্ন রোগী নিয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু টাকার লোভে ভিন রাজ্যে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের রোগী সাজিয়ে নিয়ে আনার অভিযোগ উঠেছে ঘাটালের অ্যাম্বুল্যান্স চালকদের একাংশের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার ঘাটালের এক অ্যাম্বুল্যান্স চালকের দেহে করোনা সংক্রমণের ঘটনা সামনে আসার পর এই অভিযোগ উঠেছে অ্যাম্বুল্যান্সের মালিক ও চালকদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, লকডাউনের মধ্যে পাটনা, চেন্নাই, ব্যাঙ্গালুরু ও মুম্বাই থেকে মেদিনীপুরের প্রচুর পরিযায়ী শ্রমিক অ্যাম্বুল্যান্সে করে বাড়ি ফিরেছেন নিরাপদে।
ঘাটাল-দাসপুর এলাকার লক্ষাধিক যুবক ভিন রাজ্যে সোনার কাজ করেন। তাঁদের অনেকেই লকডাউন শুরু হওয়ার পর বাড়ি ফিরতে চেয়ে ফোন করেছিলেন ঘাটালের অ্যাম্বুল্যান্স মালিকদের। প্রথম দিকে স্বর্ণশিল্পীরা মোটা টাকার বিনিময়ে বাড়ি ফিরতে পারলেও এখন অবশ্য কেউ সাহস করে ফিরতে চাইছেন না। সরাসরি স্বীকার না-করলেও ভিন রাজ্যে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকরা যে দফায় দফায় ফোন করতেন, স্বীকার করেছেন ঘাটালের একাধিক অ্যাম্বুল্যান্সের মালিকরা। তাঁরা বলেন, ‘দিনে অন্তত ত্রিশ-চল্লিশটা ফোন আসত। তবে আমরা তাঁদের প্রস্তাবে রাজি হইনি।’
ঘাটালের অ্যাম্বুল্যান্স চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, ভুয়ো রোগী সাজিয়ে মুম্বাই, রাজস্থান, চেন্নাইয়ে আটকে পড়া লোকেদের মেদিনীপুরে নিয়ে আসা হয়েছিল লকডাউনের প্রথম পর্যায়ে। একটি বিশেষ চক্র এই কাজ করেছে। তাদের সাহায্যেই ঘাটালের বহু মানুষ ভিন রাজ্য থেকে বাড়ি ফিরেছেন।