দক্ষিণবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

কামারপুকুরে তৈরি হচ্ছে পরিবেশ বান্ধব পর্যটন ক্ষেত্র

July 2, 2021 | 2 min read

পরিবেশ বান্ধব পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে গোঘাট-২ ব্লক ও কামারপুকুর পঞ্চায়েত। গোঘাটের সাতবেড়িয়া গ্ৰামে ১৫ বিঘা জমির উপর এই পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠছে। কামারপুকুর রামকৃষ্ণ মঠের তা খুব কাছেই। পর্যটকরা মঠ পরিদর্শন করে সহজেই ওই পর্যটন কেন্দ্রও ঘুরে দেখতে পারবেন। পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা জন্য খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা। কাজ প্রায় শেষ হ঩য়েই এসেছে। সেখানে থেকে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারাও নানাভাবে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারবেন।


গোঘাট-২ ব্লকের বিডিও অভিজিৎ হালদার বলেন, কামারপুকুর পঞ্চায়েত ও গোঘাট-২ ব্লকের উদ্যোগে গোঘাটের সাতবেড়িয়ায় এই পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে। গ্ৰামীণ সম্পদকে ব্যবহার করে মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়ন করাই এই পরিকল্পনার মূল লক্ষ্য। পর্যটকরা এখানে এলে সম্পূর্ণ গ্ৰামীণ জীবনকে উপভোগ করতে পারবেন। কামারপুকুর গ্ৰামপঞ্চায়েতের প্রধান তপন মণ্ডল বলেন, পরিবেশ বান্ধব এই পর্যটন কেন্দ্রে সব্জি, মাছ, ফলের চাষের সঙ্গে নানা ধরনের বাহারি ফুল চাষও করা হবে। দায়িত্ব দেওয়া হবে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে। কামারপুকুর রামকৃষ্ণ মঠের কাছেই এই পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠছে। বহু পর্যটক দেশ, বিদেশ থেকে মঠে বেড়াতে আসেন। তাঁদের যদি গ্ৰামীণ এই পর্যটন কেন্দ্রে আনা যায়, তাহলে এই এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়নের মানচিত্র পাল্টে যাবে। পর্যটনকে কেন্দ্র করে গ্ৰামীণ মানুষের জীবনযাপনের মানোন্নয়ন ঘটানোই আমাদের মূল লক্ষ্য।


প্রায় ১৫ বিঘা জমির উপর গড়ে ওঠা ওই পর্যটন কেন্দ্রে দু’টি পুকুর খনন করা হয়েছে। তাতে মাছ চাষ হবে। তারমধ্যে একটি পুকুরের উপর মাচা করে গড়ে তোলা হবে ক্যান্টিন। যে ক্যান্টিন পরিচালনার ভার দেওয়া হবে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের। এছাড়াও সৌন্দর্যায়নের জন্য  সেখানে বিভিন্ন ধরনের ফুল ও ফলের গাছ লাগানো হবে। জৈব্য সার দিয়ে সব্জি, মাছ ও ফলের গাছ তৈরি করা হবে। চাষের কাজে যুক্ত করা হবে স্থানীয় লোকজনকে। তাতে গ্ৰামবাসীর রোজগারের নতুন একটা  পথ খুলে যাবে, তেমনই পর্যটকরা গ্ৰামের মুক্ত পরিবেশ এসে গ্রাম্য জীবনের স্বাদ পাবেন।


সাতবেড়িয়া গ্রামের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যা চন্দনা ভাণ্ডারী বলেন, পর্যটন কেন্দ্রের ক্যান্টিনটি চালানোর জন্য আমাদের বলা হয়েছে। আমরা খুব খুশি। আশা করছি, বহু পর্যটক এখানে আসবেন। তাঁদের খাইয়ে তৃপ্তি দেওয়ার পাশাপাশি আমরাও কিছু রোজগার করতে পারব। তাতে সংসারের অভাব দূর হবে। স্থানীয় বাসিন্দা কাশীনাথ মালিক বলেন, এই পর্যটন কেন্দ্র হলে গ্রামের বহু মানুষের রুজিরোজগার হবে। পর্যটকদেরও জায়গাটি ভালো লাগবে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#eco friendly, #tourist spot

আরো দেখুন