ইউক্রেনকে চার গোল দিয়ে সেমিফাইনালে ইংল্যান্ড
অবশেষে তুমি কি এলে? ইংল্যান্ড সমর্থকদের মনে এ প্রশ্ন এখন জাগতেই পারে। কারণ, কোয়ার্টার ফাইনালে ইউক্রেনকে দুরমুশ করে দিয়ে ইউরো কাপের সেমিফাইনালে পা দিয়েছে তাঁদের প্রিয় দল। আন্ডারডগ ইউক্রেনকে গোলের মালা পরিয়ে দিয়েছেন হ্যারি কেন, হ্যারি ম্যাগিওররা। জয়ের ব্যবধান শুধু নয়, যেভাবে ইংল্যান্ড পারফর্ম করল, তাতে মনে হতেই পারে, অবশেষে ‘It is coming home।’
শনিবার ইউরোর শেষ কোয়ার্টার ফাইনালে ইংরেজদের মুখোমুখি হয়েছিল ইউক্রেন। ইয়ারমালেঙ্কোদের মতো তারকাদের সমাহার যে দলে, সেই ইউক্রেনকে (Ukraine) যে ইংল্যান্ড এভাবে হেলায় হারিয়ে দেবে, সেটা একেবারেই প্রত্যাশিত ছিল না। কিন্তু শেষ আটের লড়াইয়ে গোটা ম্যাচে ইংরেজদের কোনওরকম চাপেই ফেলতে পারলেন না ইউক্রেন ফুটবলাররা। এদিন ম্যাচের একেবারে শুরুর দিকে গোল করে ইংল্যান্ডকে এগিয়ে দেন হ্যারি কেন (Harry Kane)। তারপর প্রথমার্ধে রাশ খানিকটা হালকা করেছিল ইংল্যান্ড (England)। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে একেবারে অন্য ফুটবল উপহার দিলেন কেন-স্টারলিংরা। প্রথমে রক্ষণের অন্যতম স্তম্ভ হ্যারি ম্যাগিওর গোল করে ইংল্যান্ডের হয়ে ব্যবধান বাড়ান। এরপর ইংরেজদের হয়ে তৃতীয় গোলটি ফের করেন হ্যারি কেন। এদিনের ম্যাচে জোড়া গোলের মালিক হয়েছেন কেন। ম্যাচের চতুর্থ অর্থাৎ শেষ গোলটি আসে পরিবর্ত খেলয়াড় হেন্ডারসনের হেডার থেকে।
ইউক্রেনের বিরুদ্ধে চার শূন্য গোলে জিতে অনবদ্য রেকর্ড করে ফেলল ইংরেজরা। এই প্রথম কোনও দল ইউরোর মতো টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে এল একটিও গোল হজম না করে। ইংরেজ গোলরক্ষক জর্ডন পিকফোর্ড তাঁদেরই দলের কিংবদন্তি গর্ডন ব্যাংকসের ক্লিনশিটের রেকর্ড ছুঁয়ে ফেললেন। এই সহজ জয়ের ফলে চতুর্থবারের জন্য শেষ চারে জায়গা নিশ্চিত হল ইংল্যান্ডের। প্রথমবার ইউরো (Euro Cup 2020) জয়ের লক্ষ্যে আরও একধাপ এগোল তাঁরা। লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে তাঁদের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে নামবে ডেনমার্ক।
ইংল্যান্ড: ৪ (কেন ২, ম্যাগিওর, হেন্ডারসন)
ইউক্রেন: ০