প্রশিক্ষণ শিবিরেও গরহাজির বিধায়করা, চিন্তা বাড়ছে বিজেপির
শনিবার দলের সব বিধায়কদের জন্যে কর্মশালা (Workshop) করা হয়েছিল হেস্টিংসে। শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikary) পাশাপাশি এই কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। বিজেপির (BJP) প্রশিক্ষণ শিবিরে ৭৫ জন বিধায়কের মধ্যে ৬৯ জন উপস্থিত ছিলেন। এই আবহে মুকুল রায় বাদে আরও যে পাঁচ বিধায়ক অনুপস্থিত ছিলেন, তাঁদের নিয়ে জল্পনা বাড়ল। অনুপস্থিত বিধায়কদের মধ্যে শুধুমাত্র বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষের অনুপস্থিতির কারণ জানা গিয়েছে। তবে বাকি বিধায়কদের অনুপস্থিতির কারণ স্পষ্ট নয়।
এদিকে বিজেপির হেস্টিংস অফিসে দলীয় বিধায়কদের প্রশিক্ষণ শিবিরে কড়া বার্তা দিলেন শুভেন্দু-দিলীপ। তৃণমূলকে এক ইঞ্চিও জায়গা ছাড়ার বার্তা দিয়ে বিধায়কদের মনবল বাড়ানোর চেষ্টা করলেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে এরই মাঝে দিলীপ-শুভেন্দুদের কপালে থেকে যাচ্ছে চিন্তার ভাঁজ। মূলত মুকুল রায়ের দলবদলের পর থেকেই দলে ভাঙন ধরতে পারে, এমন আশঙ্কা দানা বাঁধে। এই পরিস্থিতিতে বিধায়কদের অনুপস্থিতি অস্বস্তিতে ফেলল বিজেপিকে। বিজেপি সূত্রে খবর, বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ ছাড়াও দার্জিলিংয়ের বিধায়ক ধীরজ তামাং জিম্বা, পুরুলিয়ার বিধায়ক সন্দীপ কুমার মুখোপাধ্যায়, বাগদার বিধায়ক বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, কুলটির বিধায়ক অজয় কুমার পোদ্দার এবং ভাটপাড়ার বিধায়ক পবন সিং এদিনের বৈঠকে উপস্থিত হননি।
এদিকে বিধানসভায় বিধায়করা কীভাবে কাজ করবেন, সেই সংক্রান্ত ক্লাস নেন শুভেন্দু-দিলীপবাবুরা। দলের অভিজ্ঞ বিধায়ক মনোজ টিজ্ঞা ও মিহির গোস্বামী বিধানসভায় বিধায়কদের কী কাজ, তার রূপরেখা জানান। এদিন দলের তরফে জানানো হয়েছে, বিধানসভা যে কদিন অধিবেশন, সেই কদিন সব বিধায়ককে উপস্থিত থাকতে হবে। বিরোধী দলনেতার সঙ্গে আলোচনা করে অধিবেশন কক্ষের ভেতরে আন্দোলন চলবে।
সরকার বিরোধিতায় কিভাবে ঝাঁপানো হত সেই উদাহরণ টানেন দিলীপ। তিনি বিধায়কদের মনে করিয়ে দেন, বাংলার মানুষ বিজেপিকে ক্ষমতায় না আনলেও বিরোধী বেঞ্চে বসিয়েছে। তাই, সরকারের গঠনমূলক কাজে সহযোগিতা করতে হবে, জনবিরোধী কাজে বিরোধিতা করতে হবে। শুধু টিকা কেলেঙ্কারি নিয়ে নয়, ইয়াসের ত্রাণ বণ্টনের দুর্নীতি সহ আরও একাধিক ইস্যুতে প্রতিবাদ জানাতে হবে বিধায়কদের। এছাড়া প্রত্যেক বিধায়ককে তাঁর বিধানসভা এলাকায় সরকার বিরোধিতায় তেড়েফুড়ে নামতে বলা হয়েছে।