লকডাউনের ধাক্কায় বিপাকে হাজার তন্তুবায় পরিবার
লকডাউন চলছে এক মাসের উপর। তাঁতঘরে মাকুর শব্দ আর শোনা যাচ্ছে না আরামবাগের গ্রামগঞ্জে। পরিবহণ বন্ধ। থমকে মহারাষ্ট্র থেকে সুতো আসাও। উৎপাদিত কাপড় বিক্রি নেই। ফলে সংসারের আয়ের সব পথ বন্ধ। বেজায় বিপাকে পড়েছে মহকুমার কয়েক হাজার তন্তুবায় পরিবার। তাঁতিঘরের হেঁশেলে হাঁড়ি চড়াই দায়!
এই পরিস্থিতিতে, আরামবাগ, গোঘাট, খানাকুল-সহ মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকার কয়েক হাজার তাঁতশিল্পী সরকারের মুখের দিকে তাকিয়েই বসে রয়েছেন। কিন্তু, দিন যে আর চলে না! করোনার জেরে লকডাউন কবে কাটবে তা অনিশ্চিত। স্বাভাবিক বেচাকেনা বন্ধের পাশাপাশি ঘরে জমে থাকা শাড়ি অন্যান্য বছর চৈত্র সেলের আগে ব্যবসায়ীরা কিনে নিয়ে যেতেন। এ বছর লকডাউনের ফলে তা-ও হয়নি।
তার উপর সব কিছু বন্ধ থাকায় বাজারে পড়ে থাকা টাকাও এই মুহূর্তে পাওয়ার কোনও সম্ভাবনা দেখছেন না মহকুমার তাঁতশিল্পীরা। লকডাউনে যে সব ক্ষেত্রে আংশিক ছাড় দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে তন্তুবায় বা বস্ত্র-ব্যবসায়ীরা পড়েন না। ফলে চরম অনিশ্চয়তা আর অভাবের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন মহকুমার কয়েক হাজার তাঁতশিল্পী।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে মহাজনকে শাড়ি বুনে দিতে গেলে যে সুতো লাগবে তা কেনার টাকা কোথা থেকে তাঁরা পাবেন তা নিয়েও ঘোর চিন্তায় রয়েছেন তাঁতশিল্পীদের অনেকে।
এই লকডাউনের সময় সরকার থেকে শুরু করে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা নানা ভাবে দুঃস্থদের পাশে দাঁড়াচ্ছে। কিন্তু আরামবাগ মহকুমার কয়েক হাজার তাঁতশিল্পীর পাশে সে ভাবে কাউকে দেখা যাচ্ছে না।