বনগাঁয় অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ সাংসদকে, ব্রাত্য দিলীপ ও অন্যান্য জেলা নেতৃত্ব
রক্তদান শিবিরকে কেন্দ্র করে ফের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলায় রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। অনুষ্ঠানে সাংসদ আমন্ত্রণ পেলেও ব্রাত্য রইলেন BJP-র রাজ্য সভাপতি থেকে জেলা সভাপতি? এই প্রশ্নে শুরু তরজা। এই ঘটনাকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।
জানা গিয়েছে, রবিবার গাইঘাটার চাঁদপাড়া বাজারে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিবস উপলক্ষ্যে এক রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল৷ BJP-র চাঁদপাড়া পূর্ব মণ্ডল-১-এর তরফে শিবিরটির আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের ছবি থাকলেও BJP-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বনস্পতি দেবের নাম বা ছবি ব্যবহার করা হয়নি৷ এমনকি অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বনগাঁর BJP-র সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। অথচ BJP-র রাজ্য সভাপতি এবং সাংগঠনিক জেলা সভাপতির দেখা মেলেনি। তাঁদের আমন্ত্রণই করা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
অন্যদিকে, BJP-র সাংসদ রক্তদান শিবিরের উদ্বোধন করলেও এটি দলের অনুষ্ঠান নয় বলে দাবি জানিয়েছেন BJP-র বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বনস্পতি দেব। তিনি বলেন, ‘রক্তদানের মতো কোনও অনুষ্ঠান হচ্ছে বলে আমাদের জানা নেই। গাইঘাটায় যে অনুষ্ঠান হচ্ছে তা দলের কোনও অনুষ্ঠান নয়। দলের ব্যানার, পতাকা ব্যবহার হলে দলের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।’ যদিও এটি দলের অনুষ্ঠান বলে দাবি জানিয়েছেন BJP-র বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মণ্ডল। তাঁর পাল্টা দাবি, ‘সকলকে নিমন্ত্রণ করা হয়েছে। রাজ্য সভাপতি ও জেলা সভাপতির গুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়েছে। সে কারণে তাঁরা আসতে পারেননি৷’
BJP-র সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দু-রকম মন্তব্যের মধ্য দিয়ে যে দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকট হয়ে উঠেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যদিও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দেবদাস মণ্ডল। তবে গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোবিন্দ দাসের কটাক্ষ, ‘BJP-র গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সর্বজনস্বীকৃত। সংসদীয় জেলা কমিটির অনুষ্ঠানে জেলা সভাপতির না আসা অত্যন্ত দৃষ্টিকটূ। BJP-র সাংগঠনিক স্তরে যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে, তা এই ঘটনাতেই প্রকট হয়ে উঠেছে।’
একইসঙ্গে শান্তনু ঠাকুর প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘শান্তনু ঠাকুর ঠিক কোন অবস্থানে আছেন, তা বোঝা যাচ্ছে না।’ এদিন BJP-র রক্তদান শিবিরে কোভিড বিধি মানা হয়নি বলেও অভিযোগ তুলেছেন গোবিন্দ দাস। তাঁর কথায়, ‘বর্তমান মহামারীর সময় অন্তত রাজনৈতিক দলের কোভিডবিধি মেনে চলা উচিত। এদিনের রক্তদান শিবিরে দূরত্ববিধি মানা হয়নি। এমনকি কারোর মুখে মাস্ক ছিল না।’ যদিও এই অভিযোগ খারিজ করেছেন দেবদাস মণ্ডল।