ঠাঁই বদল হওয়া বাজারে নিয়ম মেনেই বিকিকিনি
গেটের মুখে দাঁড়িয়ে পুলিশকর্মী। মাস্ক থাকলে তবেই মিলছে বাজারে ঢোকার অনুমতি। ভিতরে মাইকে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার বার্তা। সেই বাজারে নিয়ম মেনেই জিনিস কিনছেন ক্রেতারা।
রবিবার সকালে এমনই ছবি চোখ পড়ল, দমদম স্টেশন সংলগ্ন একটি স্কুলের মাঠের বাজারে। ওই বাজারে কোনও দোকানের সামনে ভিড় করলে ক্রেতাদের সচেতন করছেন দোকানদাররাই। সব্জি বিক্রেতা অনন্ত ভুঁইমালি বলেন, ‘দমদম রোডের উপর যখন এই বাজার বসে, তখন অনেকেই নিয়ম মানছিলেন না। তবে স্কুল মাঠে বাজার সরে যাওয়ার পর প্রত্যেকে নিয়ম মানছেন।’
স্থানীয় প্রশাসনের সক্রিয়তা এবং লাগাতার প্রচারেই এখন প্রত্যেকে নিয়ম মানছেন, বাজার করার ফাঁকে জানালেন স্থানীয় বাসিন্দা অন্তরা চক্রবর্তী।
শুধু দমদমের ওই বাজরটি নয়, জায়গা বদল হওয়া আরও একাধিক বাজারে ঘুরে দেখা গেল, নিয়ম মেনেই সেখানে সব্জি, মাছ, মাংস কিনছেন সাধারণ মানুষ। বাগবাজারের সব্জি মার্কেট গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বসছে বাগবাজার সর্বজনীন দুর্গাপুজোর মাঠে। সেখানে দেখা গেল, দূরত্ব বজায় রেখে পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা।
বাগুইআটির মণ্ডলগাছির বাজারও এখন বসছে পাশের ফুটবল মাঠে। বাগুইআটি থানার এক অফিসার জানাচ্ছেন, ফুটবল মাঠের আয়তন ১০ একর। ফলে দূরত্ব বজায় রেখে দোকান বসানো গিয়েছে। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে ৯৫ জন দোকানদারকে দেওয়া হয়েছে বড় ছাতা। এর ফলে বাজারটিকে দূর থেকে দেখতেও আকর্ষণীয় লাগছে। পাটুলির তালপুকুর বাজারকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তালপুকুর মাঠ এবং বাঘাযতীন শক্তি সঙ্ঘের মাঠে। পাটুলি থানার এক অফিসার জানাচ্ছেন, জায়গা বড় হওয়ায় ভিড় বেশি হচ্ছে না। নিয়ম মেনেই কেনাকাটা চলছে।
নবান্নের নির্দেশ মেনে কলকাতা ও লাগোয়া বিধাননগর, দক্ষিণ দমদম, দমদম পুর এলাকায় ঘিঞ্জি এলাকায় থাকা একাধিক বাজার ইতিমধ্যেই অন্যত্র সরানো হয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, ওই চারটি পুরসভায় এমন বাজারের সংখ্যা ৪১টি।