স্ট্যান স্বামীর মৃত্যুর পর কী মুক্তি পাবে অন্য বন্দিরা, রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দিলেন মমতা-সনিয়া-শরদরা
সোমবার দুপুরেই মৃত্যু হয়েছে মানবাধিকার কর্মী স্ট্যান স্বামীর (Stan Swamy)। তার ঠিক একদিন পরই ভীমা-কোরেগাঁও মামলায় (Bheema Koregaon) বন্দি সকলের মুক্তির আবেদন করে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দকে (Ramnath Kovind) চিঠি দিলেন কংগ্রেস (INC) সভাপতি সনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi), জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টির (NCP) প্রধান শরদ পওয়ার (Sharad Pawar), এবং তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)-সহ ১০ জন বিশিষ্ট বিরোধী রাজনৈতিক নেতারা।
চিঠিতে ভারতের রাষ্ট্রপতি হিসাবে এই বিষয়ে রামনাথ কোভিন্দের অবিলম্বে হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়েছে। স্ট্যান স্বামীর বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা মামলা সাজানো’, তাঁকে একটানা কারাগারে বন্দি রাখা এবং কারাগারে তাঁর বিরুদ্ধে অমানবিক আচরণের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকারকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে রাষ্ট্রপতির কাছে। দোষীদের জবাবদিহি চাওয়ার পাশাপাশি ‘ভীমা কোরেগাঁও মামলায় কারাবন্দী এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত কারণে অন্যান্য যাদের ইউএপিএ, রাষ্ট্রদ্রোহ ইত্যাদির মতো অবৈধ আইন প্রয়োগ করে বন্দি করা হয়েছে’, তাদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছেন বিরোধী নেতারা।
গত বছর এলগার পরিষদ মামলায় সন্ত্রাসবিরোধী আইন বা ইউএপিএ (UAPA)-তে গ্রেফতার করা হয়েছিল ৮৪ বছরের বৃদ্ধ পাদ্রি তথা আদিবাসী অধিকার-কর্মী স্ট্যান স্বামীকে। স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে জামিন চেয়ে তিনি দীর্ঘদিন ধরে আইনি লড়াই লড়ছিলেন। সেই শুনানি শেষ হওয়ার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়। শুধু তাই নয়, জেলে থাকাকালীন অসুস্থ স্ট্যান স্বামীকে নানাভাবে স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল। এদিন চিঠিতে বিরোধী দলের নেতানেত্রীরা লিখেছেন, ফাদার স্ট্যান স্বামীর মৃত্যুর ঘটনায় ‘গভীর শোক ও তীব্র ক্ষোভ এবং গভীর উদ্বেগ’ থেকেই এই চিঠি লেখা হয়েছে।
সনিয়া গান্ধী, শরদ পওয়ার, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও এই চিঠিতে সাক্ষর করেছেন এম কে স্টালিন, হেমন্ত সোরেন, এইচডি দেবগৌড়া, ফারুক আবদুল্লা, তেজস্বী যাদব, ডি রাজা এবং সীতারাম ইয়েচুরি।