স্নাতকস্তরে ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে উপাচার্যদের সঙ্গে শিক্ষা দপ্তরের বৈঠক আজ
ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, ভর্তি প্রক্রিয়া সংক্রান্ত বিষয়ই প্রাধান্য পাবে এই বৈঠকে। বিকেল পাঁচটা থেকে অনলাইনে এই বৈঠক হওয়ার কথা।

অভূতপূর্বভাবে উচ্চ মাধ্যমিক বাতিলের পর গাণিতিক ফর্মুলায় পরীক্ষার্থীদের নম্বরের হিসেব হচ্ছে। তাই স্নাতকস্তরে ভর্তি প্রক্রিয়ার বিষয়টি এবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এই অবস্থায় আজ, বুধবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) বৈঠকে বসছেন সমস্ত উপাচার্যদের সঙ্গে। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, ভর্তি প্রক্রিয়া সংক্রান্ত বিষয়ই প্রাধান্য পাবে এই বৈঠকে। বিকেল পাঁচটা থেকে অনলাইনে এই বৈঠক হওয়ার কথা।
জুলাইয়ের মধ্যেই উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশিত হয়ে যাওয়ার কথা। তাই কেন্দ্রীয়ভাবে কাউন্সেলিং করার প্রযুক্তিগত সম্ভাবনা প্রায় নেই বলেই মনে করছেন অধিকাংশ উপাচার্য। তাছাড়া, প্রবেশিকা পরীক্ষা নিয়ে রাজ্য সরকারের নীতি রক্ষণশীল। যাদবপুরে বিভিন্ন অভিযোগ ওঠার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে প্রবেশিকা পরীক্ষার দায়িত্ব ছাড়তে রাজি নয় সরকার। এই অবস্থায় পড়ুয়াদের বঞ্চিত না করে মেধা যাচাই করার বিষয়টি খুবই কঠিন বলে মনে করছেন উপাচার্যরা। গতবার যাদবপুর উচ্চ মাধ্যমিকের পাশাপাশি মাধ্যমিকের নম্বরকেও সমান বা কিছুক্ষেত্রে বেশি গুরুত্ব দিয়ে পড়ুয়া ভর্তি করেছিল। তবে, এবার উচ্চ মাধ্যমিকের নম্বরের মধ্যেই একাদশ এবং মাধ্যমিকের নম্বরও যুক্ত থাকছে। তাই এবার সেই পদ্ধতি গ্রহণ করা যুক্তিহীন। উপাচার্যরাও চান, সরকার এ ব্যাপারে একটি রূপরেখা দিক। এর পাশাপাশি, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকস্তরের চূড়ান্ত পরীক্ষাও শিগগিরই শুরু হতে চলেছে। গতবারের মতোই এবারও সেগুলিতে বাড়ি থেকেই পড়ুয়াদের বসার কথা। এতে স্নাতকোত্তরে মান ধরে রাখা নিয়েও সন্দিহান শিক্ষামহলের একাংশ। তাই স্নাতকস্তরে সম্ভব না হোক, স্নাতকোত্তরে প্রবেশিকা চালুর দাবি করতে পারেন কেউ কেউ।