টিকার দুটি ডোজ অথবা করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্ট থাকলেই প্রবেশ দীঘা-মন্দারমণিতে

আত্মশাসনের বিধিনিষেধ খানিক শিথিল হতেই ভিড় বাড়ছে সমুদ্রসৈকতে। তাই করোনা নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছে প্রশাসন।

July 13, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

সপ্তাহান্তে আর হাতের নাগালে থাকল না দীঘা! (Digha) তারাপীঠ, বোলপুর, জলদাপাড়ার পর এবার বাঙালির অতিপ্রিয় এই সমুদ্রসৈকতেও ভ্যাকসিনের (Vaccine) দু’টি ডোজের শংসাপত্র কিংবা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে করা করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট ছাড়া হোটেলে ওঠা যাবে না। শুধু দীঘা নয়, করোনার তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলায় শঙ্করপুর, তাজপুর, মন্দারমণি সহ সবক’টি পর্যটনকেন্দ্রেই কঠোর নিয়ম চালুর সিদ্ধান্ত নিল কাঁথি মহকুমা প্রশাসন। সোমবার মহকুমা শাসক আদিত্যবিক্রম হিরানি এসংক্রান্ত নোটিস ইস্যু করেছেন। সব হোটেল, লজ এবং হোম স্টে কর্তৃপক্ষকে পর্যটকদের ভ্যাকসিন সংক্রান্ত নথি জমা রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আত্মশাসনের বিধিনিষেধ খানিক শিথিল হতেই ভিড় বাড়ছে সমুদ্রসৈকতে। তাই করোনা নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছে প্রশাসন। ধারাবাহিকভাবে মাইকিং চলছে দীঘায়। তার পাশাপাশি এবার পর্যটনকেন্দ্রগুলিকে সুরক্ষিত রাখার লক্ষ্যে কার্যকর হচ্ছে নয়া সিদ্ধান্ত। এতে পর্যটক সংখ্যা কমতে পারে বলে হোটেল মালিকদের একাংশের ধারণা। তবে, এব্যাপারে তঁারা প্রশাসনের বিরোধিতা করছেন না।

জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, ‘দীঘায় প্রচুর পর্যটক সমাগম হচ্ছে। অনেকেই কোভিড (Covid19) নিয়ম মানছেন না। তাই পর্যটকদের হোটেল, লজে ওঠার জন্য ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজের শংসাপত্র কিংবা করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। এর ফলে পর্যটক, ব্যবসায়ী ও হোটেল কর্মী—সব পক্ষেরই ভালো হবে। করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্যকর্মী থেকে পুলিস-প্রশাসন অনবরত কাজ করে চলছে। এই নিয়ম চালু না করলে এত পরিশ্রমের কোনও মূল্য থাকবে না।’ মহামারী এবং ঘূর্ণিঝড় যশের জোড়া ধাক্কা কাটিয়ে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে দীঘা। বাস পরিষেবা চালু হতেই পর্যটকদের ঢল নেমেছে সৈকত শহরে। যত্রতত্র সমুদ্র স্নান চলছে। দীঘা থেকে মন্দারমণি পর্যন্ত সর্বত্র একশো শতাংশ হোটেল চালু। সোমবার রথযাত্রার দিনেও ব্যাপক ভিড় লক্ষ করা গিয়েছে। পর্যটকদের অনেকেই মাস্ক ব্যবহার করছেন না। এই ভিড় যাতে সর্বনাশের কারণ হয়ে না দাঁড়ায় সেজন্য আগাম ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন।

কাঁথির মহকুমা শাসক আদিত্যবিক্রম হিরানি জানিয়েছেন, করোনার তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলায় প্রত্যেককে এই নির্দেশ মানতেই হবে। প্রতিটি হোটেল, লজে বিভিন্ন ফ্লোর, করিডর, হল, ডাইনিং হল, রিসেপশন এবং লনে ঝোলানো থাকবে নয়া এই বিজ্ঞপ্তি। কোনও হোটেল কর্তৃপক্ষ ওই নোটিস অমান্য করলে মহামারী আইনে ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন। দীঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, ‘সোমবারই পর্যটকদের হোটেলে ওঠার ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ সংক্রান্ত নোটিস ইস্যু করেছেন মহকুমা শাসক। এর ফলে পর্যটক সংখ্যা কমবে কি না, সেটা এখনই বলা কঠিন। আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি।’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen