রথযাত্রার পুণ্যলগ্নে শুরু হল শারদীয়ার খুঁটি পুজো
ছন্দে ফেরেনি স্বাভাবিক জনজীবন। সচল হয়নি ট্রেন, বাস, অফিস, কার্যালয়। মাস্ক ঢাকা মুখই এখন চেনা ছবি। আমজনতা বিশ্বাস রাখেন মুক্তি মিলবে করোনার গ্রাস থেকে। তাই তৃতীয় ঢেউয়ের ভ্রুকুটি থাকলেও দুর্গাপুজোয় (Durga Puja) কোনওভাবেই ছেদ পড়ুক, তা চান না পুজো উদ্যোক্তারা। শুরু হয়েছে খুঁটিপুজো (Khuti Puja)। উত্তর থেকে দক্ষিণের সব পুজো কমিটির কর্মকর্তারা একবাক্যে জানিয়েছেন, এবারও পুজো হোক, তবে উৎসব নয়।
অক্টোবরে দুর্গাপুজো। হাতে ১০০ দিনের কম সময়। করোনা মোকাবিলাকে গুরুত্ব দিয়েই দুর্গা পুজোর তোড়জোড় শুরু করে দিলেন কর্মকর্তারা। বলা ভালো, বিগ বাজেটের পুজো উদ্যোক্তরাই সর্বাগ্রে এগিয়ে এলেন। রথযাত্রা উপলক্ষে খুঁটিপুজো হয়েছে একাধিক জায়গায়। মূলত রবিবার ও সোমবার শহর কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় খুঁটিপুজোর ছবি ধরা পড়েছে। যেমন রবিবার খুঁটিপুজো হয়েছে শ্রীভূমিতে। আবার সোমবার হয়েছে গড়িয়াহাট হিন্দুস্থান ক্লাবে। উদ্যোক্তারা মনে করছেন, মাদুর্গা আসছেন। এবারও পুজো হবে, সেই আঙ্গিকটা ফুটে উঠছে। করোনার গ্রাস থেকে মুক্তি চাইছে আমজনতা। শ্রীভূমি পুজো কমিটির উদ্যোক্তা সুজিত বসু বলেন, খুঁটিপুজো হচ্ছে, এটা মানসিক স্বস্তি। সকলেই চান বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবের আনন্দ উপভোগ করতে। চাই করোনা আবহ থেকে মানুষ মুক্তি পাক। ৫০০ পুজো কমিটির ১০ হাজার সদস্যের ভ্যাকসিনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
গড়িয়াহাট হিন্দুস্থান ক্লাব খুঁটিপুজোর সঙ্গে সাধারণ মানুষকে সব্জি বিতরণ করেছে। পুজো কমিটির উদ্যোক্তা চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের কথায়, করোনা পরিস্থিতিতে প্রতিকূলতা আছে। কিন্তু মনের আনন্দটা আলাদা। তাই খুঁটিপুজো দিয়ে যাত্রা শুরু হল। আশা করি, পুজো হবে খুব ভালোভাবেই। আর মায়ের আগমনে করোনা দূরীভূত হবে।
উল্টোরথের দিন খুঁটিপুজোর কর্মসূচি নিয়েছে ত্রিধারা সম্মিলনী। সেদিন থেকে তারাও পুজোর আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি শুরু করবে। তবে পুজোর থিম, বাজেট নিয়ে আলোচনা করা হয়ে গিয়েছে। উদ্যোক্তা দেবাশিস কুমার বলেন, করোনা পরিস্থিতি না থাকলে এই সময় থেকে প্যান্ডেল তৈরির কাজ শুরু হয়ে যায়। এখন পরিস্থিতি বিচার করে চলতে হচ্ছে। তবে উৎসব না হোক, পুজোটা যাতে ঠিকভাবে করতে পারি, সেটাই মায়ের কাছে প্রার্থনা।