উত্তরবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

আলুর বীজ উৎপাদনে স্বনির্ভর হচ্ছে জলপাইগুড়ি

July 13, 2021 | 2 min read

ভিন রাজ্যের উপর আর মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে না। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে আলুচাষিদের জন্য উন্নতমানের আলু বীজ (Seed Potato) উৎপাদনে দিশা দেখাচ্ছে জলপাইগুড়ি জেলা কৃষিদপ্তর (Jalpaiguri District Agricultural Department)। যে স্কিমের মাধ্যমে এই বীজ উৎপাদন করা হচ্ছে, তার নাম ‘হাইটেক সিড প্রোডাকশন অব পটাটো ইন নেট হাউস’। যেখানে কৃষিদপ্তর ও চাষিরা যৌথভাবে কাজ করছে। যার ফলে খরচ কমার সঙ্গে সঙ্গে উন্নতজাতের আলু উৎপাদনের রাস্তা আরও প্রশস্ত হচ্ছে চাষিদের কাছে। দীর্ঘদিন ধরে উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব, সিমলার মতো কয়েকটি রাজ্য থেকে জেলার চাষিরা আলুর বীজ সংগ্রহ করেন। কার্যত ওইসব রাজ্যের কৃষকরা ও কিছু ফড়ে এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তুলনামূলকভাবে বেশি দামে সেই বীজ বিক্রি করেন। এই অবস্থায় রাজ্য সরকার অন্য রাজ্যের উপর নির্ভরশীল না থেকে এখানেই আলুর বীজ উৎপাদনের পরিকল্পনা নেয়। 

কৃষিদপ্তর সূত্রে খবর, জেলায় আগে আলুর বীজ তৈরি করতে গেলে দেখা যেত, শোষক পোকা বা ভাইরাসে সেই বীজ নষ্ট করে দিচ্ছে। কিন্তু, এখন নেটহাউস তৈরি করে তার ভিতর উন্নতমানের আলুর বীজ চাষ হচ্ছে। চলতি বছর ৩০ হাজার কেজির বেশি বীজ উৎপাদন হয়েছে। যেগুলি এখন ঠান্ডা ঘরে মজুত রাখা হয়েছে। আগামী মরশুমে সেগুলি আলু চাষের জন্য চাষিরা খেতে লাগাবেন। কৃষিদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, সাধারণত যে রাজ্য বা জেলায় শীতকাল দীর্ঘ সময় ধরে থাকে সেই জায়গায় আলুবীজ উৎপাদন ভালো হয়। বীজে ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। জলপাইগুড়ি জেলাতেও শীতকাল একটু বেশি সময় ধরে থাকে। তাই এখানেও আলুর বীজ চাষের উপযোগী পরিবেশ আছে। তবে আগে এই পরিস্থিতি ছিল না। বীজ চাষ করতে গেলে ভাইরাসের আক্রমণ হতো। তবে সাম্প্রতিককালের কিছু গবেষণায় সেই সমস্যার সমাধান হচ্ছে।

ইতিমধ্যে জেলার সদর ব্লক, রাজগঞ্জ, মালবাজারের কয়েকজন চাষির জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে দপ্তরের তরফে আলুর বীজ চাষ করানো হয়েছে। তাতে ফলাফল খুব ভালো। কৃষিদপ্তরের প্রচেষ্টা ধীরে ধীরে আলুর বীজ উৎপাদনে আরও জোর দেওয়া। 
কীভাবে হচ্ছে এই বীজ উৎপাদন? কৃষিদপ্তরের বিশেষজ্ঞরা বলেন, দপ্তরের থেকে কয়েকজন চাষিকে বাছাই করে হয়েছে। যাঁদের জমিতে দপ্তর নেট হাউস বানানোর ব্যবস্থা করে দিয়েছে। সেখানের জন্য বীজ তৈরির আলুবীজ দেওয়া হয়েছে। সেই বীজ উৎপাদন এখন চলেছে। গোটা প্রক্রিয়ায় জেলা কৃষিদপ্তরের আধিকারিক প্রবীর হাজরা যথেষ্ট আশাবাদী। তিনি বলেন, আলুর বীজ উৎপাদনে সাফল্য দেখে আরও কৃষক উৎসাহ দেখাচ্ছেন। ধীরে ধীরে আলুর বীজ উৎপাদনে আমরা স্বনির্ভর হয়ে উঠছি। তাতে ভিন রাজ্যের উপর আমাদের নির্ভরতা কমবে। আর রাজ্য সরকারও তাই চায়।  

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#jalpaiguri, #Ptato, #Seed

আরো দেখুন