নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের পর উপনির্বাচন নিয়ে আশাবাদী তৃণমূল
রাজ্যের ৭ কেন্দ্রে দ্রুত উপনির্বাচন(By-Election) নিয়ে দিল্লির দরবার থেকে বেশ সদর্থক ইঙ্গিত নিয়েই ফিরছে তৃণমূল(TMC) প্রতিনিধি দল। বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ে দেখা করার পর বেরিয়ে এমনই আশার কথা শোনালেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও’ ব্রায়েন, কাকলি ঘোষ দস্তিদাররা। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং কমিশনের ফুল বেঞ্চের সঙ্গে কথা বলার পর রাজ্যে দ্রুত উপনির্বাচনের আশা দেখছেন তাঁরা।
একুশের নির্বাচনের পর রাজ্যে সবমিলিয়ে মোট সাত কেন্দ্রে উপনির্বাচন হওয়ার কথা। এর মধ্যে অবশ্য মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর এবং সামশেরগঞ্জের প্রার্থীদের প্রয়াণের জেরে নির্বাচনই হতে পারেনি। আর বাকি ৫ কেন্দ্রে একাধিক কারণে ফের ভোট হবে। ভবানীপুর, খড়দহ, গোসাবা, দিনহাটা, শান্তিপুর – এই কেন্দ্রগুলিতে উপনির্বাচন। এছাড়া রাজ্যসভারও দুটি আসনেও ভোট রয়েছে। নন্দীগ্রামে হেরে যাওয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর কোনও একটি আসন থেকে ৬ মাসের মধ্যে জিতে আসা জরুরি সাংবিধানিক স্বার্থেই। ফলে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির খানিকটা উন্নতি হতেই উপনির্বাচনের জন্য জাতীয় নির্বাচন কমিশনের উপর চাপ বাড়াচ্ছিল তৃণমূল। এর আগে চিঠি লিখে এই দাবি জানিয়েছিল রাজ্যের শাসকদল। আর বৃহস্পতিবার সরাসরি দিল্লিতে কমিশনের দপ্তরে গিয়ে দেখা করলেন তাঁরা। দিয়ে এসেছেন একটি চিঠিও। দেখে নিন সেই চিঠি।
বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ কমিশনের অফিসে গিয়ে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেন তৃণমূলের ৬ সদস্য। ছিলেন, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌগত রায়, ডেরেক ও’ ব্রায়েন, সুখেন্দু শেখর রায় ও কাকলি দোস্তিদার।
সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুখেন্দুশেখর রায়রা। লোকসভার তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বলেন, ‘রাজ্যের মানুষের দাবি, ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর ৬ মাসের মধ্যে সম্পন্ন হোক উপনির্বাচন। সেকথা আমরা কমিশনকে জানিয়েছি। এখন করোনা পরিস্থিতি অনেকটা ভাল রাজ্যে। তাই যত দ্রুত সম্ভব, এই কাজ শেষ হলে ভাল। মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে কথা হয়েছে। উনি আমাদের সব কথা শুনেছে। কমিশনেরও সুবিধা-অসুবিধার কথা আমাদের জানিয়েছেন। সদর্থক বৈঠক হয়েছে। আমরা আশা নিয়েই যাচ্ছি।’ তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও কাকলি ঘোষ দস্তিদারও জানান, কথা বলে তাঁরা মোটের উপর সন্তুষ্ট। কমিশনও নিজের মতো করে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাই আশা, দ্রুতই হয়ত রাজ্যে উপনির্বাচনের পালা সাঙ্গ হয়ে যাবে