পুর-স্বাস্থ্যকর্মীদের হাজার টাকা করে ২ মাস ইনসেনটিভ দেবে রাজ্য
করোনা মোকাবিলায় কাজ করার জন্য জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের অধীনে থাকা রাজ্যের পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীদের ইনসেনটিভ তথা উৎসাহ ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। বেতন বাদে এপ্রিল ও মে মাসে তাঁদের ১০০০ টাকা করে ইনসেনটিভ দেওয়া হবে। এতে রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভার ৬ হাজার ৩৩৩ জন স্বাস্থ্যকর্মী উপকৃত হবেন। এই ইনসেনটিভ দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকার ১ কোটি ২৬ লক্ষ ৬৬ হাজার টাকা বরাদ্দও করেছে।
জানা গিয়েছে, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের অধীনে যে পুরসভাগুলি রয়েছে, কেবলমাত্র সেই পুরসভায় কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মীরা এই উৎসাহ ভাতা পাবেন। যাঁদের অনারারি হেল্থ ওয়ার্কার তথা সংক্ষেপে এইচএইচডব্লু বলা হয়। জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের বাইরে থাকা পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা এই ভাতা পাবেন না। তবে, করোনা মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের এই মানবিক সিদ্ধান্তে খুশি পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা।
২৭ এপ্রিল সোমবার রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তর ও জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের পক্ষ থেকে ওই ইনসেনটিভ দেওয়ার ব্যাপারে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
ওই নির্দেশিকা অনুযায়ী, আলিপুরদুয়ারের ৩৮ জন, পশ্চিম বর্ধমানের ৬০৮ জন, বাঁকুড়ার ২৮ জন, বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার ৫২ জন, বীরভূমের ৩৬ জন, বিষ্ণপুর স্বাস্থ্য জেলার ১৯ জন, পূর্ব বর্ধমানের ১৪০ জন, কোচবিহারের ১৯ জন, দক্ষিণ দিনাজপুরের ৫৩ জন, দার্জিলিং জিটিএর ৬৪ জন, দার্জিলিং এসএমপির ১৬৩ জন, ডায়মন্ডহারবারের ১৭ জন, হুগলির ৯০৯ জন, হাওড়ার ৩২৬ জন, জলপাইগুড়ির ৩৩ জন, ঝাড়গ্রামের ১৮ জন, কালিম্পংয়ের ১৮ জন, কলকাতা কর্পোরেশনের ৬১৯ জন, মালদহের ৬৩ জন, মুর্শিদাবাদের ১০৭ জন, নদীয়ার ২৫০ জন, নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলার ২৫ জন, উত্তর ২৪ পরগনার ১৯০১ জন, পশ্চিম মেদিনীপুরের ১৬০ জন, পূর্ব মেদিনীপুরের ৮৩ জন, পুরুলিয়ার ২৯ জন, রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার ১৯ জন, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৪৪১ জন এবং উত্তর দিনাজপুরের ৯৫ জন মিলিয়ে রাজ্যের ৬ হাজার ৩৩৩ জন অনারারি হেল্থ ওয়ার্কার এই উৎসাহ ভাতা পাবেন।