দেশ বিভাগে ফিরে যান

বিরোধীরাই নয়, মন্ত্রিসভার সদস্যদের ফোনেও আড়ি পাতছে মোদী সরকার? জল্পনা টুইটারে

July 18, 2021 | < 1 min read

২০১৯ সালের পর ফের খবরের শিরোনামে ইজরায়েলের সফটওয়্যার পেগাসাস (Pegasus)। এ বার বিজেপি-র রাজ্যসভার সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী (Subramanian Swamu) অভিযোগ তুললেন, পেগাসাস আড়ি পাতছে দেশের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের ফোনে। পাশাপাশি, আড়ি পাতা হচ্ছে মোদীর মন্ত্রিসভার সদস্যদের ফোনে এবং আরএসএস নেতাদের ফোনেও। এই বিষয়ে একটি রিপোর্টও নাকি শীঘ্রই প্রকাশ পাবে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে। যদিও গোটা বিষয়টিকেই একটি ‘শক্তিশালী গুজব’ বলে উল্লেখ করেছেন স্বামী।

বিস্ফোরক এই দাবি করে রবিবার সকালে টুইট করেছেন তিনি। দাবি করেছেন, কাদের ফোনে আড়ি পাতা হচ্ছে, সেই তালিকা বিস্তারিত পেলেই তিনি প্রকাশ করবেন। সেই টুইটের পাল্টা উত্তর দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন (Derek O’ Brien)। তিনি ওই আড়িপাতার তালিকায় শুধু যুক্ত করে দিয়েছেন, ‘‘…অনেক বিরোধী দলের সদস্যও’’। অর্থাৎ, বিরোধী দলের সদস্যদের ফোনেও আড়ি পাতা হচ্ছে বলে তাঁর অভিযোগ।

টুইট করেছেন পি চিদম্বরমের (P Chidambaram) পুত্র কার্তি চিদম্বরমও। তিনিও পেগসাসের কথা উল্লেখ করেছেন। তবে স্বামীর মতো স্পষ্ট করে নয়। তিনি টুইটারে লিখেছেন, ‘…পেগাসাস বিস্ফোরণ ঘটাতে চলেছে।’ কোনও কোনও মহল থেকে আন্দাজ করে বলা হয়েছে, ভারতীয় সময় রবিবার রাত ১২টার পর এই বিষয়ে একাধিক পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হতে পারে। যদিও এখনও পর্যন্ত সবটাই জল্পনা।

২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে খবরের শিরোনামে আসে পেগাসাস। সেখানে বলা হয়, সারা পৃথিবীর প্রায় ১ হাজার ৪০০ জনের ফোনে আড়ি পাতা হয়েছিল। সেই তালিকায় ছিলেন কূটনীতিক, নেতা, সাংবাদিক ও সরকারি আধিকারিকরা। ভারতের ব্যবহারকারীরাও ফাঁদে পা দিয়েছিলেন। সেই তালিকায় ছিলেন গবেষক, দলিত আন্দোলনকারী, সাংবাদিক। সেই সময়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেছিলেন, কেন্দ্রীয় সরকার পেগাসাসের কোনও অনৈতিক ব্যবহার করেনি।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Narendra Modi, #Government, #phone tap

আরো দেখুন