সর্বদল বৈঠকে আড়াই ঘন্টা পর এলেন মোদী, ক্ষুব্ধ বিরোধীরা
সোমবার থেকে শুরু হতে চলেছে সংসদের বাদল অধিবেশন (Monsoon Session of Parliament) । তার আগে আজকে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশীর ডাকে সর্বদল বৈঠক (All Party Meeting) অনুষ্ঠিত হল। জানা গিয়েছে, এবারের অধিবেশনে মোট ৩০টি বিল ‘ব়্যাটিফাই’ করতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার। এবারের অধিবেশনে নিয়মমাফিক ভাবেই জিরো হাওয়ার এবং প্রশ্ন-উত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হবে।
আজকের বৈঠকে প্রায় আড়াই ঘন্টা পর উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra M0di), যা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা (Oppositions)। সূত্রের খবর, আজ সকাল ১১টায় শুরু হয় সর্বদল বৈঠক। দুপুর দেড়টা পর্যন্ত নিজেদের বক্তব্য পেশ করেন বিরোধী নেতারা। কিন্তু সেই সময় হাজির ছিলেন না প্রধানমন্ত্রী। তিনি আসেন ১:২৯ মিনিটে। আর তারপরই সংবাদমাধ্যমকে ছবি তোলার অনুমতি দেওয়া হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়েছে বিরোধী দলগুলি।
এদিকে বাদল অধিবেশনে কেন্দ্রকে বিঁধতে বহু হাতিয়ার রয়েছে বিরোধীদের হাতে। এই বছরের গোড়ায় যখন বাজেট অধিবেশন বসেছিল, তখন কৃষি আইন নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছিল। বিরোধীরা বিক্ষোভও করেছিলেন। এবার তারসঙ্গে খাদ্যদ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি, পেট্রোপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির মতো ইস্যু যোগ হচ্ছে।
তাছাড়া গত মার্চ থেকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত গোটা দেশ। এই নিয়ে অব্যবস্থার অভিযোগ উঠেছে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে। সেই ইস্যুতে কেন্দ্রকে তোপ দাগবে বিরোধীরা। তবে এশবের মাঝেই কেন্দ্রের নিজেদের প্রস্তাবিত বিলগুলি পাশ করিয়ে নিতে চাইবে। অন্যদিকে, এখনও লোকসভার ডেপুটি স্পিকার নিয়োগ না করার ইস্যু নিয়েও সরব হয়েছে বিরোধী দলগুলি।
বিশেষ সূত্রের খবর, বাদল অধিবেশন চলাকালীন আগামী মঙ্গলবার লোকসভা এবং রাজ্যসভায় প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের পরিষদীয় নেতাদের নিয়ে কোভিড সংক্রান্ত একটি বৈঠক করার প্রস্তাব দেয় শাসকদল। কিন্তু, সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেয় তৃণমূল ও কংগ্রেসের মত বিভিন্ন বিরোধী দল। তাদের বক্তব্য, কোভিড নিয়ে যে কোনও আলোচনা সংসদের কক্ষে হতে হবে, বাইরে নয়। তাদের দাবি, এইভাবেই দায় এড়িয়ে সংসদকে উপেক্ষা করতে চাইছে বিজেপি (BJP)।