আন্তর্জাতিক বিভাগে ফিরে যান

কোয়ারেন্টাইনে যাচ্ছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী

July 19, 2021 | 2 min read

ভ্যাকসিনের  দু’টি ডোজ নেওয়ার পরও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ব্রিটেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ (Sajit Javid)। তাঁর সংস্পর্শে আসায় কোয়ারেন্টাইনে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন (Boris Johnson) এবং অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক (Rishi Sunak)। তবে এনিয়ে কম নাটক হয়নি। কারণ প্রাথমিকভাবে ডাউনিং স্ট্রিট জানিয়েছিল, কোয়ারেন্টাইন এড়াতে প্রতিদিন করোনা পরীক্ষা করাবেন প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী। কিন্তু, সেই সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়।  লেবার পার্টির নেতা স্যার কেয়ার স্টারমার সরকারি ঘোষণার কড়া সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, কনজারভেটিভ সরকার যা খুশি করছে। রবিস ও ঋষি সুনাক ভাবছেন, গোটা দেশের জন্য যে আইন বলবত্ রয়েছে, তা তাঁদের মানতে হবে না। এই পদক্ষেপের জেরে ফের দু’জনের প্রকৃত চরিত্র সকলের সামনে চলে এল। ডাউনিং স্ট্রিটে যা চলছে, তা দেখে অবাক হয়ে যাচ্ছি। শুধু স্টারমার নন, সুর চড়িয়েছেন বিরোধী দলের একাধিক নেতাও। এর জেরে ব্যাপক চাপে পড়ে যায় বরিস প্রশাসন। ফলে তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে কোয়ারেন্টাইনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী।

এরমধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়েছে ব্রিটেনের নয়া সংক্রমণের হার। জানুয়ারি পর এবার ফের নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে। এই পরিসংখ্যান সামনে আসতেই আশঙ্কার প্রহর গুনছেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। তাঁরা মনে করছেন, বিধিনিষেধ শিথিল হতেই যেভাবে বিপুল সংখ্যক মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছেন, তাতে অদূর ভবিষ্যতে আরও বড় বিপদ নেমে আসতে পারে। সংক্রমণ বৃদ্ধির পাশাপাশি ১০ বিলিয়ন পাউন্ডের সরকারি বরাদ্দ নিয়ে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে জনসন ও সুনাকের মধ্যে। প্রশাসন সূত্রে খবর, এই অর্থ এনএইচএসের বকেয়া ও বয়স্কদের চিকিত্সার খাতে খরচ করার কথা। তাই বরাদ্দ পাওয়া নিয়ে অচলাবস্থা কাটাতে বরিস নয়া স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে দায়িত্ব দিয়েছেন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইংল্যান্ডে ৫৩ লক্ষ মানুষ রুটিন অস্ত্রোপচার এবং চিকিত্সার জন্য অপেক্ষা করে রয়েছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাভেদের আশঙ্কা, ওই তহবিলের অর্থ আটকে রাখলে অপেক্ষারত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৩০ লক্ষে পৌঁছে যেতে পারে। 

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Boris Johnson, #home quarantine

আরো দেখুন