করোনার ওষুধ বন্টনে বঞ্চিত বাংলা, স্বীকার মোদী সরকারের
করোনা ও মিউকোরমাইকোসিসের চিকিৎসার ওষুধ বণ্টনে বিজেপিশাসিত বড় রাজ্যগুলির তুলনায় বঞ্চনার শিকার বাংলা। একেবারে লোকসভাতে পেশ করা কেন্দ্রীয় সার ও রসায়ন মন্ত্রীর উত্তরে ধরা পড়ল এই ওষুধ বঞ্চনার চিত্র। ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন রাজ্যে করোনার চিকিৎসা ওষুধ সরবরাহ কেমন ছিল, সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে তা জানতে চেয়েছিলেন দক্ষিণ কলকাতার সাংসদ মালা রায় (Mala Roy)। এও জানতে চান, দেশে করোনার ওষুধ সঙ্কট নেই তো? উত্তরে কেন্দ্রীয় সার ও রসায়ন মন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্যের পেশ করা তথ্যমালা থেকেই স্পষ্ট, করোনা মহামারীর মধ্যেও ওষুধ বণ্টনে রাজনীতি ছাড়তে পারেনি বিজেপি (BJP) সরকার। সঙ্কটজনক করোনা রোগীদের চিকিৎসায় ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছিল রেমডিসিভিরের।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পেশ করা তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে, জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ছ’মাসে গুজরাত, কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তরপ্রদেশ—এই চার বড় বিজেপিশাসিত রাজ্য রেমডিসিভির ইঞ্জেকশন পেয়েছিল যথাক্রমে ৭৭৬৭৪৩, ৯৬৬৪৪৬, ৩৩৮৮২৫ ও ৫৩০১৮৫ ভায়াল। সেদিকে বাংলা পায় অনেকটাই কম ২৩৩৯০৬ ভায়াল রেমডিসিভির। মিউকোরমাইকোসিসের ওষুধ অ্যাম্ফোটেরিসিনের (লাইপোসোমাল) কেন্দ্রীয় বরাদ্দ ওই চার রাজ্যে ছিল যথাক্রমে ১৫৭৬২৯, ৬১১৩৮, ৫৪৯০১ এবং ৪৬৫০ ভায়াল। সেখানে গত ছ’মাসে বাংলা এই ওষুধ (Medicine) পেয়েছে মাত্র ২২২০ ভায়াল। তোসিলিজুমাবের ক্ষেত্রে অবশ্য গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ ও উত্তরপ্রদেশের তুলনায় বেশি ভায়াল ওষুধ পেয়েছে বাংলা (২২৩২)। কিন্তু কর্ণাটকের (৯৪২৮) তুলনায় পেয়েছে অনেকটাই কম। মালাদেবীর দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, ওষুধের অভাব সংক্রান্ত যে কোনও বিষয়ের দিকে সতর্ক দৃষ্টি রয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইজিং অথরিটির। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে এনপিপিএ-র হেল্পলাইন নম্বরে ওষুধের অভাব সংক্রান্ত ১০১১টি অভিযোগ এসেছিল। সবক’টিরই সমাধানের চেষ্টা করা হয়েছে।