জানুয়ারিতেই চালু হচ্ছে অশোকনগর মেগা পাওয়ারলুম ক্লাস্টার
আগামী বছরের শুরুতেই অশোকনগরে (Ashoknagar) চালু হবে মেগা পাওয়ারলুম ক্লাস্টার (Powerloom Cluster)। তার মাধ্যমে রাজ্যের বস্ত্রশিল্পে কার্যত জোয়ার আসবে। কারণ, এরাজ্যে পাওয়ারলুম ক্লাস্টার না থাকায় টেক্সটাইল শিল্পের কাঁচামাল বা ফেব্রিক আনতে হতো মহারাষ্ট্র, গুজরাত সহ অন্যান্য রাজ্য থেকে। এখানে সুতো তৈরি হলে মেটিয়াবুরুজ সহ রাজ্যের বিভিন্ন রেডিমেড কাপড়ের সামগ্রী তৈরির কারখানা উপকৃত হবে। স্বল্প দামে ফেব্রিক পাওয়া গেলে প্রতিযোগিতার বাজারে এরাজ্যের বস্ত্রশিল্প একধাপে অনেকটাই এগতে পারবে। মঙ্গলবার অশোকনগরে নির্মীয়মাণ ক্লাস্টার পরিদর্শনের পর এ-কথা জানান প্রশাসনের কর্তারা। এদিন প্রশাসনিক প্রতিনিধি দল প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনের পাশাপাশি অশোকনগর পুরসভায় প্রশাসনিক বৈঠক করেন। প্রশাসন সূত্রের খবর, এদিন অশোকনগরে যান জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা এবং বিভিন্ন দপ্তরের কর্তারা। তাঁরা অশোকনগর মেগা পাওয়ারলুম ক্লাস্টার এবং প্রস্তাবিত জুয়েলারি হাব পরিদর্শন করেন। তারপর যান অশোকনগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। এই হাসপাতালটিকে স্বাস্থ্যদপ্তর ‘করোনা হাসপাতাল’ হিসেবে ঘোষণা করেছিল। ফলে সাধারণ রোগীদের ভর্তি ও আউটডোরে চিকিৎসা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এখন করোনা নিয়ন্ত্রণে আসায় ওপিডি ফের চালু করার বিষয়ে আলোচনা করা হয়। হাসপাতাল পরিদর্শনের পর পুরভবনে প্রশাসনিক বৈঠক হয়। তাতে পুর এলাকার উন্নয়ন, সৌন্দর্যায়ন সহ নানান বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। পুরসভাকে ঢেলে সাজার জন্য সমস্ত রকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী বলেন, স্পিনিং মিলের জমিতে মেগা পাওয়ারলুম ক্লাস্টার তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। আগামী জানুয়ারিতে ক্লাস্টার চালু হবে। তাতে আশোকনগর ও হাবড়া এলাকায় চাকরির সুযোগ বাড়বে। বস্ত্রশিল্পে নতুন দিশা আসবে। অর্থদপ্তরের অনুমোদন পেলে জুয়েলারি হাবের কাজও দ্রুত শুরু হবে। এছাড়া আলোচনা হয়েছে আশোকনগর হাসপাতাল নিয়ে। ওপিডি চালু হবে সাতদিনের মধ্যে। দ্রুত ডিজিটাল এক্সরে ও সিটি স্ক্যান মেশিন বসানোর বিষয়েও এদিন আলোচনা হয়েছে। স্বাস্থ্যদপ্তর জানিয়েছে, এই দু’টি মেশিন এখানে খুব শিগগির চালু করা হবে। মেশিন দু’টি চালু হলে অশোকনগরের বিস্তীর্ণ অংশের মানুষের দীর্ঘদিনের সমস্যা দূর হবে।