এবার দেশকে নেতৃত্ব দিন মমতা, চাইছেন জয়া

বিজেপির আগ্রাসন আটকে বাংলায় বিপুল জয়ের পর তৃণমূল সুপ্রিমো ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে কী বার্তা দেন, তা জানতে সকাল থেকেই আগ্রহী ছিল দিল্লি।

July 22, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

এবার দেশের নেতৃত্বে আসুন কোনও মহিলা। এবং এই মুহূর্তে সেই পদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই যোগ্যতম ব্যক্তিত্ব। বুধবার এমনটাই মন্তব্য করলেন জয়া বচ্চন (Jaya Bachchan)। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নেতৃত্ব নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। বাংলায় নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে আমি তা দেখে এসেছি। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি (BJP) বিরোধী শক্তিকে একজোট করতে পারেন একমাত্র মমতাই। তাঁর প্রশ্ন অনেক তো হল, এবার কেন দেশের নেতৃত্বে একজন মহিলা আসবেন না?

স্রেফ সমাজবাদী পার্টির রাজ্যসভার এই এমপিই নন, তৃণমূলের আয়োজনে নয়াদিল্লিতে ২১ জুলাইয়ের স্মরণ অনুষ্ঠানে মমতার পাশে থাকারই বার্তা দিয়ে গেলেন বিজেপির বিরোধী দলের একঝাঁক এমপি। কে না ছিলেন সেখানে। এনসিপি সুপ্রিমো শারদ পাওয়ার থেকে শুরু করে কংগ্রেসের পি চিদম্বরম, দিগ্বিজয় সিংয়ের মতো হেভিওয়েট নেতা। পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন ডিএমকে’র তিরুচি শিবা, সমাজবাদী পার্টির রাজ্যসভার এমপি রামগোপাল যাদব, আম আদমি পার্টির সঞ্জয় সিং, শিবসেনার প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদি, টিআরএসের কে কেশব রাও, শিরোমণি অকালি দলের সর্দার বলবিন্দর সিং, এনসিপির সুপ্রিয়া সুলে। তৃণমূলের রাজ্য‌সভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়ানের অনুরোধে এঁরা হাজির হলেও আদতে সবটাই বিজেপি বিরোধী মহাজোটের মহড়া বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বিজেপির আগ্রাসন আটকে বাংলায় বিপুল জয়ের পর তৃণমূল সুপ্রিমো ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে কী বার্তা দেন, তা জানতে সকাল থেকেই আগ্রহী ছিল দিল্লি।

তৃণমূলের এবার লক্ষ্য যে দিল্লি, তা স্পষ্ট করে দিয়েছে সদ্য সাপ্তাহিক থেকে দৈনিকে পরিণত হওয়া দলের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’র খবরের শিরোনাম…‘এবার শপথ চলো দিল্লি।’কোভিডের কারণে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন কলকাতায় দৈনিক পত্রিকার উদ্বোধন করেন। আর নয়াদিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবের জায়ন্ট স্ক্রিনে তা দেখে বিরোধী দলের বেশ কয়েকজন এমপিকে দেখা গেল পাশে বসা তৃণমূল নেতাদের থেকে জেনে নিচ্ছেন, কী লেখা আছে। ১৩ জন শহিদের স্মরণ বেদিতে প্রত্যেক নেতানেত্রীই পুষ্প-শ্রদ্ধা জানান।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত নেতানেত্রীদের সামনে তুলে ধরেন ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই ঠিক কী ঘটেছিল কলকাতায়। কেন এই শহিদ স্মরণ। জানিয়ে দেন, যুব কংগ্রেসের সভানেত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটার পরিচয়পত্রের দাবিতে ডাক দিয়েছিলেন আন্দোলনের। আজ সেই পরিচয়পত্রেই ভোট হয় দেশজুড়ে, যা মমতারই জয়। একইসঙ্গে তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ ডেইলি প্যা঩সেঞ্জারি করেও মমতা ব঩ন্দ্যোপাধ্যায়কে সম্প্রতি হারাতে পারেননি। তাই বিজেপি বিরোধী মহাজোট করতে হলে তৃণমূলনেত্রীকে কেউ এড়িয়ে যেতে পারবে না। সৌগত রায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, শতাব্দী রায়, মালা রায়, মহুয়া মৈত্র, অর্পিতা ঘোষ, শান্তনু সেনের মতো তৃণমূল এমপিরা কনস্টিটিউশন ক্লাবে হাজির হয়ে দলনেত্রীর ২১শের বার্তা শোনেন। অনুষ্ঠান শেষে জানিয়ে দেন, পেগাসাস ইস্যুতে নেত্রীর বেঁধে দেওয়া সুরেই বৃহস্পতিবার থেকে তাঁরা সংসদের উভয়কক্ষে সোচ্চার হবেন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen