কর্ণাটকে সঙ্কটে বিজেপি সরকার, মুখ্যমন্ত্রীত্ব ছাড়ার ইঙ্গিত ইয়েদুরাপ্পার
গত কয়েক দিন ধরেই ক্রমশ জোরাল হয়েছে তাঁর ইস্তফা দেওয়া নিয়ে গুঞ্জন। বিজেপির সিনিয়র নেতারাও মেনে নিয়েছিলেন সেই সম্ভাবনার কথা। কিন্তু স্বয়ং কর্ণাটকের (Karnataka) মুখ্যমন্ত্রীই উড়িয়ে দিয়েছিলেন সমস্ত জল্পনাকে। অবশেষে সুর বদল করলেন প্রবীণ বিজেপি নেতা। বৃহস্পতিবার পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন, দলীয় নেতৃত্ব তাঁকে যা নির্দেশ দেবে তাই মেনে চলবেন তিনি। যা থেকে স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলল, কর্ণাটকের মসনদ থেকে সরে যেতে চলেছেন তিনি।
ঠিক কী বলেছেন তিনি? এদিন ইয়েদুরাপ্পা (BS Yediyurappa) জানিয়েছেন, ‘‘২৬ জুলাই আমাদের সরকারের দু’বছর পূর্ণ হচ্ছে। তারপর জেপি নাড্ডা (JP Nadda) যে সিদ্ধান্ত নেবেন তা মেনে নেব আমি। আপনারা সবাই জানেন, দু’মাস আগেই আমি বলেছিলাম, অন্য কাউকে জায়গা ছেড়ে দিতে সরে যেতেই পারি। তবে আমি দায়িত্বে থাকি বা না থাকি, বিজেপিকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনা আমার কর্তব্য। দলের কর্মীদের আমাদর সঙ্গে সহযোগিতা করার আবেদন জানাই।’’ এরপরই তিনি পরিষ্কার বলেন, ‘‘যখন নির্দেশ আসবে আমি ছেড়ে দেব এবং দলের হয়ে কাজ করে যাব। দেখা যাক কী হয়।’’
এদিন প্রবীণ নেতার গলায় যেন খানিক অভিমানের সুরও ঝরে পড়ে যখন তিনি বলেন, ‘‘আমি ততদিনই মুখ্যমন্ত্রী থাকব যতদিন আপনারা চাইবেন। আপনারা না চাইলে আমি দায়িত্ব ছেড়ে রাজ্যের হয়ে কাজ করে যাব। জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আমি আমার কর্তব্য করে যাব।’’
প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাস ধরেই কর্ণাটকের শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন বিজেপি নেতাদের সঙ্গে সম্পর্ক একেবারেই ভাল নেই ইয়েদুরাপ্পার। আর সেই কারণেই তিনি মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়তে চান, ক্রমশ জোরাল হচ্ছে এই গুঞ্জন। সম্প্রতি তিনি দিল্লি আসার পরে সেই দিল্লি এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-সহ (Amit Shah) শীর্ষস্থানীয় বিজেপি নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এরপরই সেই জল্পনা অন্য মাত্রা পেলেও এতদিন তিনি সমস্ত জল্পনাকে উড়িয়ে দিচ্ছিলেন। অবশেষে তাঁর গলায় শোনা গেল অন্য সুর।