ভিন রাজ্য থেকে এসেছে ১২০০০ আবেদন, হিট মমতার স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড
এই ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ম্যানেজমেন্ট, নার্সিং, সহ বেশ কিছু কোর্সে পড়ার চাহিদা বেশি বলেই জানা গিয়েছে। তবে যাঁরা এই ক্রেডিট কার্ডের আবেদন করেছেন, তাঁদের একটা বড় অংশই নার্সিং নিয়ে পড়তে চান। ইতিমধ্যে সব মিলিয়ে ৪২ হাজারের বেশি ছাত্রছাত্রীর ফর্ম জমা পড়েছে। সেসব যাচাইয়ের কাজ চলছে। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, গুজরাত থেকে ওড়িশা— আবেদন এসেছে দেশের প্রত্যেক প্রান্ত থেকে। জম্মু-কাশ্মীর থেকে পাঁচজন ও অরুণাচল প্রদেশ থেকে এরাজ্যের চার পড়ুয়া আবেদন করেছেন এই কার্ডের জন্য। বাদ নেই উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বাকি রাজ্যগুলিও। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, দাক্ষিণাত্যের রাজ্যগুলি থেকে সব থেকে বেশি পড়ুয়া এই ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন পাঠিয়েছেন। দেশব্যাপী আবেদনের হিড়িক দেখে উচ্ছ্বসিত দপ্তরের কর্তারা। এই আবেদনের সংখ্যা আগামী দিনে বাড়বে বলেই মনে করছেন তাঁরা।
আবেদন জমার হিড়িক থাকলেও, প্রকল্প শুরুর পর তিন সপ্তাহ কেটে গিয়েছে। অথচ এখনও কেউ হাতে কার্ড পাননি। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, ফর্ম পূরণের ক্ষেত্রে অনেকেই ভুলভ্রান্তি করছেন। একাধিক জেলা থেকে সেই রিপোর্ট আসছে। ফলে অনেক আবেদন হয় সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, নয়তো উচ্চ শিক্ষা দপ্তরে যাচাইয়ের জন্য পড়ে রয়েছে। ব্যাঙ্কের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে পাঁচ হাজারের মতো আবেদন। ইতিমধ্যেই কলকাতার চারজন এবং বীরভূমের একজন পড়ুয়ার আবেদন বাতিল হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
রাজ্যের মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনা থেকে এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক ফর্ম জমা পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে কলকাতা। এই দুই জেলা থেকেই এক হাজারের কিছু বেশি আবেদন অনুমোদনের জন্য উচ্চ শিক্ষা দপ্তর থেকে ব্যাঙ্কে পাঠানো হয়েছে। কলকাতা থেকে সর্বাধিক আবেদন এসেছে নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। কলকাতা, যাদবপুর সহ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের আবেদনের হার অনেকটাই কম। উত্তর ২৪ পরগনাতেও একই চিত্র। তবে এই ক্রেডিট কার্ডের জন্য এখনও উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে আগ্রহ বেশ কম। বেশিরভাগ পড়ুয়াই গড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা ঋণের জন্য ক্রেডিট কার্ড চেয়ে ফর্ম জমা দিয়েছেন। আবার কয়েকজন ৫০ হাজার টাকার কার্ডের জন্যও আবেদন করেছেন।