মন্ত্রী জন বারলার বিরুদ্ধেই দিল্লির কাছে রিপোর্ট বিজেপির রাজ্য কমিটির
মন্ত্রিসভা রদবদলের পরেই বিতর্কে নাজেহাল মোদি সরকার। অধিকাংশ বিতর্ক তৈরি হচ্ছে বাংলার মন্ত্রীদের নিয়ে। এবার নজিরবিহীনভাবে মন্ত্রী হওয়ার এক মাসের মধ্যে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে রিপোর্ট জমা পড়ল পিএমওতে। বিজেপির রাজ্য কমিটির রিপোর্ট গেল কেন্দ্রীয় কমিটিতে। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি জন বাড়লে । কেন্দ্রের নতুন আদিবাসী উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী।
২০১৯-এর লোকসভা ভোটে জন বারলা (John Barla) আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে জেতেন। আদিবাসী নেতা বারলা ছিলেন আদতে চা-শ্রমিক। সেখান থেকেই ধীরে ধীরে উঠে আসা। প্রথমে তৈরি করেন আদিবাসী বিকাশ পরিষদ। পরে হাত মেলান গুরুংয়ের সঙ্গে। সময় বুঝে বিজেপির সঙ্গে। বিজেপির লোক বা সঙ্ঘ থেকে যোজন দূরে থাকতেন। শেষে তিনিই হলেন বিজেপির (BJP) সাংসদ, মন্ত্রী। যিনি বাংলায় থেকে বাংলা ভাগের কথা প্রকাশ্যে বলছেন। মন্ত্রী হওয়ার আগে বলেছেন, পরেও একইভাবে।
বারলার বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ জমা পড়ছে বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটির হাতে। আর সে নিয়ে নাকি গোপন রিপোর্ট দিয়েছে রাজ্য কমিটি। কী সেই অভিযোগ?
১. বারলার রাজ্য ভাগের দাবি। বিজেপি নেতাদের বক্তব্য, এই দাবি বুমেরাং হবে বিজেপির ক্ষেত্রে। এই দাবি আসলে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত
২. অভিযোগ, চা-বাগানের জমি দখল করে বাড়ি তৈরি করেছেন বারলা
৩. অভিযোগ, রাস্তার ধারের জমি দখল করে দোতলা সুপার মার্কেট তৈরি করেছেন সাংসদ
মন্ত্রী হওয়ার পরে বিতর্ক আরও মাথা চাড়া দিয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব জানার পরেই রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব কলকাতায় ডেকে পাঠায় জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামীকে। শুক্রবার বৈঠক হয়। দীর্ঘ আলোচনা। অভিযোগের ভিত্তি হিসাবে তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়েছে। জেলা বিজেপির বারলা সম্বব্ধে ধারণা কী, তাও জানতে চাওয়া হয়। বারলার কাজ কী ধরণের প্রভাব ফেলতে পারে এলাকায় বিশেষত আদিবাসী এলাকায়, তাও জানতে চান নেতৃত্ব। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, বারলার বিরুদ্ধে দলের কোনও নেতাই এখন মুখ খুলবেন না।
বিজেপির এক রাজ্য নেতা জানিয়েছেন, জন বারলা এখন সরু সুতোর উপর হাঁটছেন। যে কোনও সময়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব অন্য কোনও কারণ দেখিয়ে তাঁকে সরিয়ে দিতে পারেন মন্ত্রিসভা থেকে। বার্লার কাছেও সে রিপোর্ট পৌঁছেছে। ঘুম ছুটেছে আদিবাসী নেতার!