কবে সম্পূর্ণ ১৮ ঊর্ধ্বদের টিকাকরণ, ২টো করে ভ্যাক্সিন, বলতে পারল না মোদী সরকার
কোভিড মোকাবিলায় ১৮ ঊর্ধ্বদের টিকাকরণ কবে সম্পূর্ণ হবে, তার কোনও নির্দিষ্ট সময় বলা যাবে না। শুক্রবার সংসদে কেন্দ্র একথা লিখিতভাবে জানাতেই মোদী সরকারকে কোণঠাসা করতে কোমর বাঁধল কংগ্রেস ও তৃণমূল।
এদিক শুক্রবার রাজ্যসভায় সওয়াল জবাবের সময় মন্ত্রীকে সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন প্রশ্ন করেন, কবে দেশের সব নাগরিকরা ২টো করে ভ্যাক্সিন পাবেন। এই প্রশ্ন কার্যত এড়িয়ে যান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বলেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দেওয়া হবে।
চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই প্রাপ্তবয়ষ্ক সবাইকে করোনার টিকা দেওয়া হয়ে যাবে কি? টিকাকরণ কর্মসূচিতে সরকার এখনও পর্যন্ত কত টাকা খরচ করেছে? কেন আগাম ভ্যাকসিন কেনা হয়নি? এরকম কিছু প্রশ্নের উত্তর জানতে চেয়েছিলেন তৃণমূলের মালা রায় ও কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রাহুল গান্ধী। দু’জনের একই প্রশ্ন করার বিষয়টি কাকতালীয় হলেও মোদী বিরোধী জোটের বর্তমান আবহে নিঃসন্দেহে তা রাজনৈতিকভাবে উল্লেখযোগ্য।
দুই বিরোধী দলের সাংসদের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতী প্রবীণ পাওয়ার লিখিতভাবে জানিয়েছেন, কেন্দ্রের বিশেষজ্ঞ কমিটির পরামর্শ মতো অত্যন্ত ভালোভাবেই টিকাকরণ চলছে। তবে কোভিড (Covid19) মহামারী যেভাবে ছড়িয়ে পড়ছে, তাতে ঠিক কবে সবাইকে টিকা দেওয়া সম্পূর্ণ হবে, তা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। তবে আমাদের প্রধান লক্ষ্য, ২০২১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ১৮ ঊর্ধ্ব সবাইকে টিকা দেওয়া।
একইসঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছেন, আগস্ট থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ১৩৫ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন কেন্দ্রের হাতে আসবে। তাই টিকা কেনার ক্ষেত্রে কোনও বিলম্ব হয়নি। প্রস্তুতকারক কোম্পানিকে অগ্রিম টাকা দেওয়া হয়েছে। তাই ভ্যাকসিন (Vaccine) পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা নেই। এখনও পর্যন্ত টিকাকরণ কর্মসূচিতে ৯ হাজার ৭২৫ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা খরচ করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
অন্য একটি প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত কোন রাজ্যকে কেন্দ্র কত ফ্রি ভ্যাকসিন দিয়েছে, তার তালিকাও তুলে ধরেছেন।
কবে টিকাকরণ সম্পূর্ণ হবে তা বলতে পারছে না মোদী সরকার (Modi Govt)। তবে বাজেটে ৩৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করার পরও এখনও পর্যন্ত মাত্র ৯ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে কেন, এই প্রশ্ন তোলা হয়। তৃণমূলের মালা রায়ের সওয়াল, সরকার ফ্রি টিকা নিয়ে কেবল প্রচারই করছে। কিন্তু বাস্তবে রাজ্যকে কম ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। বহু জায়গায় টিকাকেন্দ্র বন্ধ করে দিতে হচ্ছে। তাই কবে সবাই টিকা পাবে, কেউ জানে না।